ads
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

রাজধানীতে আস্ত একটি ১১তলা ভবনই গায়েব

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৭ বার পঠিত

রাজধানী ভাটারার পশ্চিম ঢালী বাড়ী এলাকায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ১১তলা একটি ভবন। এই ভবনটির প্রত্যেকটি ফ্ল্যাটেই রয়েছে মানুষের বসবাস। এমনকি রেজেস্ট্রেশনও করে ফেলেছেন ফ্ল্যাটগুলোর মালিকরা। কিন্তু কাগজে কলমে ভবনটির নেই কোনো অস্তিত্ব। এতে যেন কাগজে-কলমে গায়েব হয়ে গেলো সাত বছর ধরে বসবাস করা পুরো ১১তলা ভবনটিই।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১১তলা এই ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৩ সালে। আর ২০০৫ সালে ২৬ শতাংশ জমিতে ভবন নির্মাণের অনুমোদন নেয়া হয়। কিন্তু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ১১তলা এই ভবনটিকে দেখানো হচ্ছে নাল অর্থাৎ সমতল ২ বা ৩ ফসলি আবাদি জমি হিসেবে, সম্পন্ন হয়েছে রেজিস্ট্রেশনও।

জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত ফি ফাঁকি দিতে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের যোগসাজশেই অবৈধ এ কাজটি করা হয়েছে।

ভবনটির আশপাশে বসবাসকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৩ সালে ভবনটি নির্মাণ শেষে বেশ কিছু ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়। ২০১৫ সালে ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন নিয়েছেন আব্দুর রহমান। সেই একই ব্যক্তি সরকারি কর ফাঁকি দিতে ২০২০ সালে জমিটিকে নাল জমি হিসেবে নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৫ সালে জমিটির দলিল করা হয় মুফতি আতাউর রহমানের নামে। গত এপ্রিলে করোনায় মারা যান তিনি। তার কোনো ছেলে না থাকায় অন্য অংশীদাররা মিলে ২০০৫ সালের একটি নোটারি দেখিয়ে ভবনকে নাল জমি হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করে নেন।

আতাউর রহমানের ভাই অভিযোগকারী মামুনুর রশিদ জানান, এটা নাল জমি না। এটা ১১তলা বিল্ডিং। এটি নির্মাণের কাজ ২০০৫ সালে শুরু হয়। বিল্ডিংয়ের জমি নাল জমি হিসেবে দেখানো জালিয়াতি।

ভবনটিতে বসবাস করা আরেক অভিযোগকারী ইঞ্জিনিয়ার শামিমুল ইসলাম বলেন, ভবনটির মালিক আমরা ২০ জন। সবাই যার যার ফ্ল্যাটে উঠে গেছি।

তবে কীভাবে বহুতল ভবনটি নাল হলো এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি দলিল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, যেহেতু এই জমির দলিলে কারো নাম নেই, তাহলে ফ্ল্যাট করবেন কিসের ওপর, দেখাবেন কিসের উপর? তাই দলিলটার মূলে আমার নামটা নেয়া হয়েছে।

এদিকে মূল মালিকের ভাইয় মামুনুর রশিদের দাবি- জালিয়াতি করে জমি গ্রাসের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102