খুন হন প্রকাশ্যে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। ৬ বছর পর উচ্চ আদালত বললেন, আসামিদের অপরাধ প্রমাণ হয়নি, দেয়া হয় খালাস। তাহলে প্রশ্ন ওঠে পুলিশ টেলিকম কর্মচারী শামসুল হায়দারের খুনি কে?
২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অফিসে যাওয়ার পথে দিনেদুপুরে খুন হন পুলিশ টেলিকম কর্মচারী গোলাম শামসুল হায়দার।
৮ বছর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে বলা হয়, আর্থিক দ্বন্দ্বের জেরেই আসামিরা পরিকল্পিতভাবে শামসুলকে হত্যা করে।
সোমবার(২১ সেপ্টেম্বর) উচ্চ আদালত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। রায়ে বলা হয়, খুনের ঘটনার কোনো সাক্ষী না থাকায় কারো অপরাধ প্রমাণিত হয়নি বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম ফজলুল হক খান ফরিদ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহীন আহমদে খান বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের পক্ষে সাক্ষ্য প্রমাণ দাখিল করা হলেও আদালত তা আমলে নেননি।
শামসুল হায়দারকে তাহলে খুন করলো কে? সে প্রশ্ন রয়েই গেল।