বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হচ্ছেন পুতুল নাচের পুতুল। তিনি তো নিজের কথা বলেন না, শুধু রিলে করেন। নির্বাচিত হয়েও যাকে সংসদে যেতে দেয়নি তার দল, অথচ অন্য সদস্যরা গেছে।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভার উদ্যোগে নবনির্মিত পৌরপার্ক ও টার্মিনালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন ওবায়দুল করেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, আমি নাকি শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলি আর শেখ হাসিনার তোষণের রাজনীতি করি। আপনারা তো সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিটি চিরাচরিত মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিষোদাগার করা আপনাদের এখন রোজনামচার অংশ। ফেসবুকে স্ট্যাটাস আর গণমাধ্যম ছাড়া রাজপথে আপনাদের রাজনীতি তো এখন হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন ফেসবুক স্ট্যাটাস ও গণমাধ্যমেই সীমাবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্জনের কথা বললেই বিএনপির গাত্রদাহ হয়। আওয়ামী লীগ কখনোই বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, তাদের নেতিবাচক ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের কি অর্জন আর আপনাদের কি অর্জন আছে, জনগণ জানে। হাওয়া ভবনের নামে খাওয়া ভবনই তো সব শেষ করেছে। হাতের তালু দিয়ে আকাশ ঢাকা যায় না। সত্য উদ্ভাসিত হবেই। আর সেজন্য বিশ্বসমাজ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রসংশায় পঞ্চমুখ তখন বিএনপির সহ্য হয় না। মনের যন্ত্রণা বেড়ে যায়। দেশের জনগণ এখন শেখ হাসিনার অর্জনের কথা যেমন শুনতে ও বলতে চায়। তেমনি আপনাদের অপরাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের খুনি ও খুনের মদদদাতা, গ্রেনেড হামলার খুনের মাস্টারমাইন্ড ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বগলে নিয়ে যারা দেশের রাজনীতি বিষাক্ত করেছে, তাদের কাছে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কথা শুনতে ভালো না লাগাই স্বাভাবিক। শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা শুনলে ‘হাওয়া ভবন তন্ত্রের’ কুশীলবদের গাত্রদাহ তো হবে বলেও জানান তিনি।