ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকার বাসায় গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা প্রেমিক। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকায় মীমাংসা করা হয়। এই মীমাংসার বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে আলোচনা চলছে।
আটক হওয়ায় ব্যক্তির নাম বিপ্লব (২৮) বলে জানা গেছে। তিনি উপজেলার মুশলী ইউনিয়নের কিসমত রসুলপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বিপ্লবকে আটক করে বেঁধে রাখেন স্থানীয়রা। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সারাদিন সালিশের পর সন্ধ্যায় ৫০ হাজার টাকায় মীমাংসা করেন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য হারুন অর রশিদ। তিনি উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের খামারগাঁও বিলপাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারী পোশাকশ্রমিকের (১৬) সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক ছিল বিপ্লবের। সম্পর্কের জেরে বিয়ের প্রলোভনে আগে থেকেই যৌন সম্পর্ক করে আসছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তাকে আবার যৌন সম্পর্ক করেন বিপ্লব। ওই সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা স্থানীয় লোকজন ঘরে প্রবেশ করে দুইজনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন। পরদিন দিনভর সালিশের পর মীমাংসার নামে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে বিপ্লবকে ছেড়ে দেন ইউপি মেম্বার।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, সালিশে সিদ্ধান্তের পর আমি শেষ মুহূর্তে ছিলাম না। তবে মেয়েটি সালিশে বলেছে, এর আগেও বেশ কয়েকদিন তার ঘরে এসে বিপ্লব রাত্রি যাপন করেছেন। তাছাড়া ওই পোশাকশ্রমিকের বিয়ের বয়স হয়নি। তাই স্থানীয় কয়েকজন মিলে ৫০ হাজার টাকায় মীমাংসা করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে, এ বিষয়ে কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।