পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর এবং অনিয়মের অভিযোগে দুই প্রার্থীর ভোট বর্জন।
প্রথম ধাপে দেশের ২৪ পৌরসভা নির্বাচনে এবার ভোটার উপস্থিতি ছিলো ব্যাপক। প্রায় সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইভিএমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে, পঞ্চগড়ে নির্বাচন কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর এবং বিভিন্ন কেন্দ্রে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এক পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। আর অনিয়মের অভিযোগে পাবনায় দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে সোমবার সকাল ৮টায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। প্রথমবার ইভিএমে ভোট দেয়া নিয়ে ভোটারদের মাঝে ছিল ব্যাপক উৎসাহ। কেন্দ্রে পুরুষের তুলনায় ছিল নারী ভোটারদেরর চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি।
পঞ্চগড় পৌরসভার কালেক্টেরট আদর্শ শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ফেরার সময় নির্বাচন কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আহত হন এক পুলিশ সদস্য। এছাড়া পঞ্চগড় সরকারি বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে, আহত হন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ ও বিজিবি।
এদিকে, পাবনার চাটমোহর পৌরসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে থেকে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়া ও ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান ও রেজাউল করিম দুলাল।
অন্যদিকে, মৌলভীবাজার বড়লেখা পৌরসভার সিংহগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ভোটাররা ইভিএমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন।
পীরগঞ্জ, ফুলবাড়ী, বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম সদর, পুঠিয়া ও কাটাখালী, শাহজাদপুর, খোকসা, চুয়াডাঙ্গা সদর, চালনা, বেতাগী, কুয়াকাটা, উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ, গফরগাঁও, মদন, মানিকগঞ্জ সদর, ধামরাই, দিরাই, শায়েস্তাগঞ্জ ও সীতাকুণ্ড পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে।