শপিংমল থেকে টাকা, ডলার ও ইউরো চুরির পর চোর মনে করেছিল, মাস্ক পরে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু নাক-মুখ চুলকানোই কাল হল তার। মাস্ক খুলে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় নিয়ে একবার নাক আর মুখ চুলকায় সে। এতেই তার চেহারা ধরা পড়ে সিসিটিভিতে, গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ জানায়, অনেক চেষ্টার পর চুরির কূল-কিনারা করে ওয়াটগঞ্জ থানা পুলিশ। রতন ভট্টাচার্য ওরফে বাপি নামে ওই অভিযুক্তকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মহেশতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আনিক আশহার জুনায়েদ কিছুদিন আগেই নিজ বাড়ি কলকাতায় আসেন। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে খিদিরপুরের একটি শপিংমলে যান। তার স্ত্রীর কাছে ছিল টাকাভর্তি ব্যাগ। ব্যাগটি ট্রলির উপর রেখে একটি জিনিস আনতে একটু এগিয়ে যান তিনি। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই চোর ব্যাগটি হাতিয়ে নেয়। ব্যাগের ভিতর ছিলো ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা, ৭০০ ইউরো ও দশ মার্কিন ডলার। এ ছাড়াও একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেকবইও ছিল।
আরও পড়ুন: গুগল সার্চে ছোট ভুল, মুহূর্তেই ৮০ হাজার টাকা হাওয়া
ঘটনার পর জুনায়েদ ওয়াটগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ শপিং মলের সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখে, মুখে মাস্ক ও শীতের জামাকাপড় পরে এক ব্যক্তি ব্যাগটি হাতাচ্ছে। কিন্তু মুখ ঢাকা থাকায় তাকে শনাক্ত করা খুব সহজ ছিল না। সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে তার ‘পিছু নিতে’ শুরু করে পুলিশ। একটি ফুটেজে দেখা যায়, খুব অল্প সময়ের জন্য সে মাস্কটি খুলেছে। এর মধ্যেই তার ছবি পুলিশের হাতে চলে আসে। ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়।
সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার রাতে মহেশতলার জিঞ্জিরাবাজারে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেফতার হয় রতন ভট্টাচার্য। ধরা পড়ার পর সে দাবি করে, তার স্ত্রী অসুস্থ, তার হাতে কোনও কাজ নেই। তাই সে এই চুরি করেছে।
যদিও এর আগেও একাধিক শপিং মলে গিয়ে সে ক্রেতাদের ব্যাগ হাতিয়েছে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।