প্রেমিককে হত্যার ১০ বছর পর গ্রেফতার হলেন প্রেমিকা। কলকাতার এই রহস্যময় ঘটনা উদ্ঘাটন করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, নিহত যুবকের নাম জুনিয়র মৃধা এবং গ্রেফতার প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী মোহনবাগান ক্লাবের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তার ছেলের বউ।
এর আগে, ২০১১ সালের ১২ জুলাই, কলকাতার বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পড়ে থাকা জুনিয়রের মৃতদেহ দেখে প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনা বলেই মনে করা হয়েছিল। পরে তার কাঁধে একটি ছিদ্র পাওয়া যায়, যা গুলির ক্ষতচিহ্ন বলেই মনে হয়। এরপর ফোনের সূত্র ধরে তরুণ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়রের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার যোগাযোগের সূত্র সামনে আসে।
জুনিয়রের পরিবারের দাবি, ঘটনার দিন দুপুরে ফোনে প্রিয়াঙ্কার ডাক পেয়েই জুনিয়র বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।
তবে প্রিয়াঙ্কার আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী অবশ্য দাবি করেন, আমার মক্কেল খুনে জড়িত নন। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন।
তদন্তে খুনের কোনো তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় এর আগে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ অভিযুক্তকে নির্দোষ আখ্যা দিয়েছিল। কিন্তু জুনিয়রের পরিবার হাইকোর্টে গেলে মামলাটির তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের কাছে। এরপরই জট খুলে হত্যার। দীর্ঘ জেরার পর তারা প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করেন।