রাজধানীর মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের স্কুলছাত্রী আনুশকাহ নূর আমিন বিকৃত যৌনাচারে শিকার হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সোহেল বলেন, আনুশকাহের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
শারীরিক গঠন ও দাঁত দেখে তার বয়স নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া ডিএনএ ও ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই আনুশকা গ্যাং রেপের শিকার হয়েছে কি-না বুঝা যাবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে বাসা থেকে বের হয় রাজধানীর ধানমণ্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকাহ নূর আমিন। সেখানে বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে আনুশকাহকে নেয়া হয়। সেখানে বিকেলে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরই ঘটনাটি দেশজুড়ে হইচই ফেলে দেয়।
ওই সময় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, বন্ধুর বাসায় গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে পুলিশের প্রাথমিক সুরতহালেও আনুশকাহের শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, মৃত আনুশকাহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। তবুও ময়নাতদন্তের ক্যামিকেল এক্সামিনেশনের জন্য আলামত রাখতে নির্দেশনা দিয়েছি।
এদিকে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে ডেকে নিয়ে ‘ও’ লেভেলের ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। এতে অভিযুক্ত বন্ধু তানভীর ইফতেফার দিহানকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে দিহান আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।