মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৯৯ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার এই অভিযান চালানো হয় বলে দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি জানিয়েছে।
এদিকে স্থানীয় আরেক সংবাদমাধ্যম টুমরো নিউজ জার্নালের প্রকাশ করা এক ছবিতে দেখা গেছে খালি পায়ের বেশ কিছু পুরুষ আর রঙিন স্কার্ফে মাথা ঢাকা বেশ কিছু নারী আদালতের আঙিনায় বসে রয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা থিন মাউং লউইন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত এখনো চলছে।’ ৯৮-৯৯ জন গ্রেফতার হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে তাদের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হবে।’
নিজেদের রাজ্য রাখাইনের বাইরে গেলে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ প্রায়ই রোহিঙ্গাদের অবৈধ ভ্রমণের অভিযোগে আটক বা গ্রেফতার করে থাকে।
২০১৭ সালে পশ্চিমের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এই রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাস দমনের নামে সেনা অভিযান শুরু হলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
বর্তমানে মিয়ানমারে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা মানবেতর পরিস্থিতিতে বসবাস করছে। এদের বেশিরভাগই বিভিন্ন শিবির, দুর্গম গ্রামে বসবাস করছে। তাদের স্বাধীন চলাচলের সুযোগ খুবই সীমিত। দেশটিতে দীর্ঘকাল বসবাস করে আসলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে মিয়ানমার।
ইয়াঙ্গুনে আটক রোহিঙ্গাদের দ্রুত মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার গ্রুপ ফর্টিফাই গ্রুপ। গ্রুপটির সিনিয়র মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ জন কুইনলি বলেন, ‘কেবল নিজ দেশে ভ্রমণের কারণে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের রোহিঙ্গাদের আটক করার নীতি অব্যাহত রাখতে দেখা বিরক্তিকর। অবিলম্বে আটক রোহিঙ্গাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।