বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তার কথার আঘাত বিতর্ক সৃষ্টির বিশাল রসদ। ব্যক্তি গুণ বা যেকোনো বলয়ে বেফাঁস মন্তব্য করতে কুণ্ঠাবোধ করেন না তিনি। সোজাসাপ্টা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে তার কোনো রাখঢাক নেই।
সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় কঙ্গনা ও তার বোন রঙ্গলি চান্দেলকে সমন পাঠিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ। তিনবার সমন পাওয়ার পরেও দুই বোনের কেউই পুলিশের সামনে হাজির হননি। ঘটনার প্রেক্ষিতে ৮ জানুয়ারির মধ্যে কঙ্গনা ও তার বোন রঙ্গলিকে পুলিশের সামনে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিল বোম্বে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে উচ্চ আদালত জানিয়েছিল, দুই বোনকে কোনো অবস্থাতেই গ্রেফতার করা যাবে না।
ওই নির্দেশের পর শুক্রবার নির্দিষ্ট সময়ে বান্দ্রা পুলিশ থানায় হাজির হন কঙ্গনা ও রঙ্গলি। রাষ্ট্রদ্রোহীতার এই মামলায় দুই বোনের বক্তব্য রেকর্ড করা হবে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১ টা নাগাদ আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে বান্দ্রা থানায় হাজির হন কঙ্গনা। সঙ্গে ছিলেন তার বোন রঙ্গলি। এর আগে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনবার পুলিশের কাছে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন দুই বোন। কঙ্গনার আসার খবরে, এদিন থানার সামনে ভিড় জমে যায়।
উল্লেখ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক মন্তব্য করা এবং ধর্মীয় অস্থিরতা ছড়ানোর কারণে দুই বোনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে মুম্বাই পুলিশ। আদালতের নির্দেশে কঙ্গনা ও তার বোনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। তারপরই বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন কঙ্গনা। কঙ্গনা এবং তার বোন তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগ বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন মেনে নেয়নি।
এদিন সকালে পুলিশের দফতরে হাজির হওয়ার আগে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন কঙ্গনা। সেখানে তিনি বলেন, আমাকে কেন মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে? আমি দেশের কাছে এর জবাব চাই। আমি সবসময় দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। এবার আপনাদের উচিত আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান। জয় হিন্দ।