আজকাল সারা বছরই টমেটো পাওয়া যায়। তারপরও শীতের সময় এই সবজির স্বাদ যেন অনেক গুণ বেড়ে যায়। এটি সালাদ হিসেবে যেমন খাওয়া যায় তেমনি রান্না করেও খাওয়া যায়।
টমেটোতে ভিটামিন এ, কে, বি ১, বি থ্রি, বি ফাইভ, বি ছিক্স, বি সেভেন ও ভিটামিন সিসহ নানা প্রাকৃতিক ভিটামিন পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে ফোলেট, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, কোলিন, কপার এবং ফসফরাসের মতো খনিজও থাকে।
নিয়মিত টমেটো খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়-
চুল ও ত্বকের জন্য ভালো : টমেটোতে থাকা লাইকোপিন ত্বকের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বক পরিষ্কার এবং সতেজ করে রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন এ চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে।
হাড়ের জন্য ভালো : টমেটোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে ১১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এ কারণে নিয়মিত টমেটো খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস : টমেটো ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি’য়ের ভালো উৎস। এ দুটি উপাদান ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে শরীরকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। এতে শরীর সুস্থ থাকে।
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে : টমেটোতে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি এবং পটাশিয়াম কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সঙ্গে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ কারণে এ সবজিটি হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী।
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে : টমেটোতে ক্রোমিয়াম নামক এক ধরনের খনিজ থাকায় এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : টমেটোতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও ভিটামিন সি স্ট্রেস হরমোন কমাতে ভূমিকা রাখে। এ কারণে নিয়মিত টমেটো খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং শরীর সুস্থ থাকে।
রক্তশূন্যতা দূর করে : নিয়মিত দু-একটি করে টমেটো খেলে রক্তের কণিকা বৃদ্ধি পায়, রক্তশূন্যতা রোধ হয়। রক্ত পরিষ্কার থাকে। এছাড়া এটি হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভূমিকা রাখে। সূত্র : এনডিটিভি