কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মোকাবেলায় নতুন নতুন পদক্ষের গ্রহন করেছে ব্রিটিশ সরকার। কোন ভাবেই যেন নিয়ন্ত্রনে আসছেনা করোনাভাইরস । লক ডাউন চলছে সমগ্র ব্রিটেন জুরে তার পরও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছে। লাশের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এর শেষ কোথায়? আমরা কেউ জানিনা?
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রনের জন্য ঘরে থাকাই হচ্ছে একমাত্র উপায়। কিন্তু সেই ঘরে থাকলে সংসার চালানো অনেকের জন্যই দায় হয়েছে। তারপর সরকার বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে । যাতে সবাই ঘরে থাকেন। বিশেষ করে যাদের কোভিড-১৯ সিম্টম আছে তাদের অবশ্য ঘরে আইসোলেশনে থাকতে হবে।
দি কোভিড অপেরাশন কমিটির পক্ষ থেকে ক্যাবিনট অফিস মিনিস্টার – মাইকেল গোভ বলেন,”যাদের কভিড-১৯ পজেটিভ সিম্টম আছে। তারা নিজ বাসায় আইসোলেশনে থাকলে বনাস পাবেন £৫০০ পাউন্ড”।
প্রতিটি কাউন্সিলে বা লোকাল গভার্মেন্টের নিকটি আপনার কভিড-১৯ পজেটিভ সার্টিফিকেট এবং আপনি ১০ দিন আইসোলেশনে ছিলেন তার সঠিক প্রমান দিলে £৫০০ পাউন্ড বনাস সরকার।
অবশ্য গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৯,৮৭৭ টি এ্যাপ্লিকেশন বিশ্বাস যোগ্যতার অভাবে রিজেক্ট করা হয়েছে। বিশেষ করে আইসোলেশনের ডকুমেন্ট কাউন্সিল গ্রহন না করে এপ্লিকেশন রিজেক্ট করেছে।
এ্যানভার্নমেন্ট সেক্রটারি – জর্জ এউসটিক বিবিসির সাথে স্বাক্ষাৎকারে বলেন,” আইসোলেশন কীপ আন্ডার রিভিও”। আইসোলেশনে থাকার প্রমান দিতে হবে কাউন্সিলকে। যদি কাউন্সিল গ্রহন না করে তবে রিভিও করার সুযোগ থাকবে।
প্রফেসর সোয়াম মিসেই বলেন,” কোন লেকের করোনার সিম্টম দেখা দিলে এবং টেস্টে করোনা পজিটিভ ধরা পরলে বাধ্যতামূলেক ১০ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।পজিটিভ সার্টিফিকেট সহ কাউন্সিলে আবেদন করলে £৫০০ পাউন্ড পাবেন”।
এনএইচএস এর স্পোকপারসন বলেন,”শুধু টেস্ট এ্যান্ড ট্রাস্ক সাপোর্টের জন্য £৫০ মিলিয়ন পাউন্ড ইন্ভেস্টমেন্ট করেছে সরকার। করোনা রোগীদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে এবং ঘরে থাকার কারনে তাকে £৫০০ পাউন্ড অর্থ সহযোগিতা করছে সরকার,”।
ঘরে থাকুন । সরকারের বিধিনিষেধ গুলি মেনে চলুন। এনএইচএস কে সহযোগিতা করুন।