ইউরোপের নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ইরানের তৈরি টিকা কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ দাবি করেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইরানের তৈরি এই টিকার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিরান বারিকাত’। আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বাধীন শক্তিশালী রাষ্ট্র সংস্থা সেতাডের স্থানীয় ভ্যাকসিন উত্পাদনের তদারককারী হাসান জলিলি এই উৎপাদনের বিষয়টি দেখাশোনা করছেন।
হাসান জলিলি জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবকদের দুই ডোজ করে কোভিরান বারিকাত দেওয়া হয়। পরে তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এটি কার্যকর।
তিনি বলেছেন, ‘যাদেরকে ট্রায়ালে টিকা দেওয়া হয়েছিল তাদের রক্তের প্লাজমা পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি ইউরোপের নতুন ধরনের করোনাভাইরাসকে অকার্যকর করতে সক্ষম।
ইরানের ন্যাশনাল করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের সদস্য মিনু মোহরাজও টিকার কার্যকারিতার এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইউরোপের নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের নমুনা দিয়েছিল, যেটি ৭০ শতাংশেরও বেশি সংক্রামক এবং কোভিরান বারিকাত গ্রহীতাদের প্রথম তিনজনের রক্তের প্লাজমা পরীক্ষায় দেখা গেছে, তা পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে।’
এদিকে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার জন্য নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। এই গাইডলাইনে মূলত করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা পদ্ধতি বলা হয়েছে। করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও কী করতে হবে, সেই কথাও বলা হয়েছে এই নতুন গাইডলাইনে।
অন্যদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার ৫১০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ৭৩৮ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাত কোটি ৪৭ লাখ ৩৭ হাজার ২৮৪ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।