মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
বিবৃতিতে সামরিক অভ্যুত্থানে আটক ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চিসহ আটক নেতাদের ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
নিরাপত্তা পরিষদের দেয়া বিবৃতিতে, দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া-প্রতিষ্ঠান সমুন্নত রাখা, সহিংসতা থেকে বিরত থাকা, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান জানানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদ উদ্বেগ জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ফ্লাইট চালু করাসহ মানবিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করার ওপর। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংকটের মূল কারণগুলোর সমাধান, বাস্তুচ্যুতদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টির তাগিদ দেয়া হয়। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দেশটির সামরিক শাসকদের ওপর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানানো হয়।
এদিকে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো।
অন্যদিকে, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে স্বাস্থকর্মীদের পর এবার দেশটির শিক্ষকরা সামরিক আইন অমান্য করার আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হয়েছে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’কে। গেল ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিকে। সু চি’র সঙ্গে আটক করা হয় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও।
সু চি সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বরখাস্তের পর নতুন সরকার গঠন করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে ১১ জন নতুন মন্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সামরিক অভ্যুত্থানের পর এক সাবেক জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।