বেশি ঘুম ও কম ঘুম: দুটোই বিপজ্জনক

এ যাবতকালে ‘ঘুম’ নিয়ে সবচেয়ে বড় গবেষণাটি করেন কানাডার গবেষকরা। এতে দেখা যায়, কম ঘুম যেমন স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ, বেশি ঘুমও তেমনি খারাপ।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট অন্টারিওর গবেষকরা ৪৪ হাজার মানুষের ওপর এই গবেষণা করেন। এই গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ছিল অনলাইন সার্ভে এবং অন্যান্য কিছু পরীক্ষা। গবেষণার এক লেখক, অ্যাড্রিয়ান ওয়েন জানান, তারা পুরো পৃথিবীর মানুষের ঘুমের অভ্যাস ধরতে চেয়েছিলেন। স্লিপ জার্নালে প্রকাশিত হয় তাদের এই গবেষণার ফলাফল।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা জানান তারা কতটা সময় ঘুমিয়েছিলেন, এরপর জরিপের সব প্রশ্নের উত্তর দেন। এসব প্রশ্নের মধ্যে ছিল, ওই ব্যক্তি কী কী ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের বয়স কত, তারা কোথায় থাকেন এবং তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী ইত্যাদি। এ সবই ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, জানান ওয়েন।

গবেষণা থেকে দেখা যায়, যারা রাত্রে চার ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের মস্তিষ্কের বয়স বেড়ে যায় নয় বছর। এটাও দেখা যায়, এসব প্রভাব সারা পৃথিবীর প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে একই রকম। বয়স যেমনই হোক না কেন, যারা দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান তাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি থাকে।

এটাও দেখা যায়, কম ঘুমানোটা যেমন ক্ষতিকর, বেশি ঘুমানোও তেমনই ক্ষতিকর। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমালে মস্তিষ্ক সবচেয়ে সুস্থ ও সবল থাকে। এর থেকে বেশি ঘুমালে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যায়।

এই গবেষণার পাশাপাশি ঘুম নিয়ে আরও কিছু গবেষণা হয়েছে সম্প্রতি। এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি রাত্রে সাড়ে আট ঘণ্টা ঘুমানোটাই ঠিক। আরেক গবেষণায় বলা হয়, সারা সপ্তাহ ঘুম কম হলে ছুটির দিনে ঘুমিয়ে নেওয়াটা শরীরের উপকারে আসতে পারে।

আরো পড়ুন