তৃতীয় লিঙ্গের ৮ জন ফরম নিলেন আ.লীগের

দেশে ৩৫০ আসনের সংসদে ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। ৩০০ আসনে সরাসরি ভোট হলেও সংরক্ষিত আসন বণ্টন হয় ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি ৪টি, বিএনপি ১টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১টি সংরক্ষিত আসন পেতে পারেন।

নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে জানিয়েছে, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ নির্বাচনের ভোটের জন্য একটি দিন রাখা হলেও ফল জানা যায় তার আগেই।

৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমান সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে বলে প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার দিনই তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে।

একাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হতে প্রথম দিনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৬২৩ জন। শুধু নারীরাই নয়, এবার সংরক্ষিত আসনের প্রতিযোগিতার জন্য তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) আটজন ফরম তুলেছেন। এর আগে, সকালে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা তৃতীয় লিঙ্গের ময়ূরী, চট্টগ্রামের ফাল্গুনি এ আটজনের মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম থেকে আসা তৃতীয় লিঙ্গের ফাল্গুনী ও অঙ্কিতাকে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম তুলতে দেখা গেছে। সকালে লাইন ধরলেও বিকেল ৫টার দিকে ফরম পান ফাল্গুনী। এর আগে কয়েকবার ফরম নিতে গিয়েও তিনি ফিরে আসেন। শেষবার চেষ্টা করে ৫টার দিকে ফরম পান।

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিযোগিতার জন্য তিনি ফরম তুলেছেন বলে জানান। ফাল্গুনি বলেন, ‘আমরাও এ দেশের মানুষ, আমাদেরও অধিকার রয়েছে। সংসদে আমাদের ব্যথা-বেদনা, আবেদনগুলো বলার লোক নেই। এ জন্য তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি সংসদে পাঠানো দরকার বলে মনে করি।’

ফাল্গুনী আরও বলেন, ‘অধিকার আদায়ের জন্য আমরা জাতীয় সংসদে যেতে চাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে ফাল্গুনী বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমাদের সম্প্রদায়ের নেতা ময়ূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ময়ূরী এবং আমিসহ আরও আটজন ফরম কিনেছি।’

ফাল্গুনী ও অঙ্কিতা জানান, সংসদে প্রতিনিধি থাকলে নিঃসন্দেহে দাবি আদায় করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন এবার সংসদে হিজড়াদের প্রতিনিধি থাকবে।

ফাল্গুনী বৈষম্য দূরীকরণ ও মাল্টিপারপাস দুটি এনজিও পরিচালনা করেন চট্টগ্রামে।

আরো পড়ুন