দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে শৈত্যপ্রবাহ

শৈত্যপ্রবাহ চলছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। তবে অঞ্চল ভেদে কোথাও ‘মৃদু’, কোথাও ‘মাঝারি’ ও কোথাও ‘তীব্র’ শৈত্যপ্রবাহ বইছে। সারা দেশের মানুষ কনকনে শীতে কাবু প্রায় অবস্থা, বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তাদের জনজীবন। বলা যায়, ‘শীতে জবুথবু’ অবস্থা।

শীতে খেচে খাওয়া নিম্ন আয়ের দরিদ্র ও বস্ত্রহীন মানুষের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় বেশি ভুগছে শিশু ও বয়স্করা। বিভিন্ন হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ভিড় বাড়ছে। অন্যদিকে শীতে বোরো ধান এবং আলুর ফলনে প্রভাব পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মূলত এ কারণে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে তবে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ। এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে।

এই হিসেবে সারা দেশের বেশির ভাগ স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বইছে।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রোগ। এরইমধ্যে কোল্ড ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ নানা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও মৌলভীবাজার অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকতে পারে।

আরো পড়ুন