কাল শুরু হচ্ছে জাতীয় কবিতা উৎসব

অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে সম্প্রীতির স্বদেশের বিনির্মাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় কবিতা পরিষদ। ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে পরিষদের আয়োজনে ৩৩তম জাতীয় কবিতা উৎসব। এবারের উৎসবের স্লোগান ‘বাঙালির জয় কবিতার জয়’।

পহেলা ফেব্রুয়ারি সকালে উৎসব উদ্বোধন করবেন প্রখ্যাত কবি আসাদ চৌধুরী। সারা দেশের কবিদের সঙ্গে এবারের উৎসবে অংশ নেবেন নয় দেশের আমন্ত্রিত চৌদ্দজন কবি। নিবন্ধিত কবিদের কবিতাপাঠ, মুক্ত আলোচনা, আবৃত্তি পরিবেশনা, সেমিনার, ছড়াপাঠ, কবিতার গানসহ মোট দশটি অধিবেশনে সাজানো হয়েছে দু’দিনের উৎসব। এবারের উৎসবে কবিতা পরিষদের পক্ষ থেকে পহেলা ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় কবিতা দিবস’ ঘোষণা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সিভিল সার্ভিসে পৃথকভাবে সংস্কৃতিবিষয়ক ক্যাডার সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছে পরিষদ।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত। উৎসবের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কবি রবিউল হুসাইন। পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পরিষদের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কবি নূহ-উল আলম লেনিন, কবি কাজী রোজী, আনজির লিটন, দিলারা হাফিজ, আনোয়ারা সৈয়দ হক, আমিনুর রহমান সুলতান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে পয়লা ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় কবিতা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় পুরস্কারগুলোর ক্ষেত্রে সামরিক শাসনামলে সৃষ্ট নীতিমালা ও পদ্ধতি গণতান্ত্রিক সরকারগুলোও অসতর্কভাবে অনুসরণ করছে। রবিউল হুসাইন বলেন, কবিরা শুধু কবিতাই লেখে না, দেশ ও সমাজের প্রতি নিজেদের দায়িত্বটুকু যথাযথভাবে পালন করে। নূহ উল-আলম লেনিন বলেন, ব্যক্তি নয়, পুরস্কার দেয়া হয় কীর্তিকে।

৩৩তম উৎসবে ভারতের কবিদের মধ্যে অংশ নিচ্ছেন জ্যোতির্ময় দত্ত, মিনাক্ষী দত্ত, রাতুল দেব বর্মণ, বীথি চট্টোপাধ্যায় ও শিবান্তি ঘোষ। এছাড়া অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাজ্যের ক্লেয়ার বুকার, তুরস্কের তারিক গুনারসেল, ইরাকের ড. আলী আল সালাহ, কঙ্গোর কামা কামান্ডা, স্পেনের জুলিও পাভানেত্তি, উরুগুয়ের আনাবেল ভিলার, চীনের ড. তানজিয়ান চাই, মালয়েশিয়ার মালিম ঘোজালি ও নেপালের পুষ্প খানাল।
উৎসবের প্রথম দিনে থাকছে মুক্ত আলোচনা ও নিবন্ধিত কবিদের কবিতাপাঠ এবং আবৃত্তি পরিবেশনাসহ পাঁচটি অধিবেশন। দ্বিতীয় দিনে ‘বাঙালির জয় কবিতার জয়’ এবং ‘কাব্যনাটক’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

আরো পড়ুন