আসন্ন ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও মধুর ক্যান্টিনে ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে আসেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান।
এদিকে মধুতে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও। এছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ কয়েকটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে ছিলেন। তবে কোনো পক্ষই কোনো ধরণের স্লোগান এবং অন্য কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়নি। এসময় তারা নীরবেই চা পান করেন।
এ সময় সংগঠনের সভাপতি রাজীব আহসান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা নিয়মিত আসতে চান। তিনি আশা করেন ঢাবির মতো সহাবস্থানের এ সংস্কৃতি অন্যান্য ক্যাম্পাসেও চালু হবে।
প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কে প্রার্থী হতে পারবে কে পারবে না সেটা বড় কথা নয়। আমরা চাই প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়া হোক। আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক।
সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, আমাদের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রথম দফা ছিল সহাবস্থান। সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা শিক্ষকদের প্রতি আস্থা রাখতে চাই। ক্রমান্বয়ে সব দাবি পূরণ হবে বলে আমরা আশাবাদী। এ সময় তিনি ডাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত কমিটিগুলো পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, সর্বদলীয় ও নিরপেক্ষ শিক্ষকদের দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করা হোক।
এর আগে, বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দীর্ঘ নয় বছর পর মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরে বৈরিতা থাকলেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছেন। এদিন ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যান্য বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তারা। এর আগে, সর্বশেষ ২০১০ সালের ২১ জুন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে এসেছিলেন।