ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে তা ভিডিও করায় শাহবাগ থানার দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাতের দিকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে সাইফুল্লাহ ও মামুন নামে ওই দুই কনস্টেবলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান।
ঘটনার বর্ণনায় আহত শিক্ষার্থী জুয়েল রানা বলেন, আমি নীলক্ষেত থেকে বই কিনে দোয়েল চত্বর দিয়ে শহীদুল্লাহ হলে যাচ্ছিলাম। সেখানে এক ফুচকাওয়ালা আবর্জনা রাস্তায় ফেলছিল বলে আমি প্রতিবাদ জানাই। এ নিয়ে ফুচকাওয়ালার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়।
ফুচকার ওই দোকান থেকে চাঁদা নিচ্ছিলেন সাইফুল্লাহ নামে এক কনস্টেবল। তখন তিনি এসে আমাকে ধাক্কা দেন। এর পর আমার আরও তিন বন্ধু এসে প্রতিবাদ জানালে তিনি আমাদের বন্দুকের বাট দিয়ে পেটাতে থাকেন।
পাশে দাঁড়ানো মামুন নামে এক কনস্টেবল আমাদের মারধরের ভিডিও ধারণ করছিলেন। আর কয়েকজন পুলিশ দাঁড়িয়ে তা দেখছিলেন।
এ খবর শহীদুল্লাহ হলে জানাজানি হলে কয়েকশ শিক্ষার্থী দোয়েল চত্বরে এসে অবস্থান নেন। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা।
পরে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ সংগঠনটির নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এর পর আহত তিন শিক্ষার্থীকে নিয়ে শাহবাগ থানায় যান তারা। রাত ১টার দিকে শাহবাগ থানায় আহত তিন শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগ নেতাদের সামনে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ওই দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ সদস্যের মারধরে আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জুয়েল রানা, গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের কামরুল হাসান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে খাজা ইরফানুল হক। তারা সবাই শহীদুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র।
পরে তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
ওসি আবুল হাসান আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র: যুগান্তর