কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় একটি বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে লাগা আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় বেগম (৬০) নামে আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিনজনে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান তিনি।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল।
তিনি বলেন, নিহত বেগমের শরীরের ২৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আর আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ৫২ শতাংশ দ্বগ্ধ নিয়ে মারা যান শাহদত হোসেন (২০)। এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে ৬০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা গেছে মরিয়ম (৪) নামে এক শিশু।
ডা. পার্থ শংকর আরও বলেন, বর্তমানে ইদুনী ওরফে পান্না বেগম ৩০ শতাংশ, সোনিয়া ২৩ শতাংশ, ইয়াছিন ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। ইয়াছিনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আর বাকিদের হাই ডিপেনডেন্সি (এইচডিইউ) ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে জিনজিরা মান্দাইল মন্দিরের সামনের একটি বাসায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। দগ্ধরা দ্বিতীয় তলা বাসার নিচ তলায় থাকতেন। ভোরে আগুন আগুন চিৎকার শুনে ওই বাসায় ছুটে যায় স্থানীয়রা। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।