ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছি, শুনেছি ক্ষমাও পেয়েছি : ডা. মুরাদ

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের শাস্তি প্রত্যাহার করে দল থেকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় ডা. মুরাদ নিজেই এ তথ্য জানান।

ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন কি না এমন প্রশ্নে ডা. মুরাদ জানান, আমি আবেদন করেছিলাম। আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু এখনো চিঠি আনতে যাইনি। তিনি আরও বলেন, গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আরও গুরুতর কথা বলেছিলেন, তাই তিনি চিঠিটা দ্রুত নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রধর্ম, রাজনীতি, খালেদা জিয়ার নাতনি ও ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ডা. মুরাদ। তার উল্টাপাল্টা মন্তব্য এবং অস্বাভাবিক আচরণের কারণে নানা সময় দলীয় সহকর্মীদেরও বিব্রত হতে হয়েছে। এসবের জেরে ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ডা. মো. মুরাদ হাসান। ২০০৮ সালেও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।

আরো পড়ুন