নোয়াখালী হাতিয়াতে ২০টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একটি চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারনা করা হচ্ছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ভৈরব বাজারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
ব্যবসায়ীরা জানান, শুক্রবার ভোররাত ৩টার দিকে একটি চায়ের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দোকানের মধ্যে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীদের চিৎকারে লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে কল দেওয়া হলে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এসে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাজারের টিনের দোকানের ব্যবসায়ী কবির হোসেন জানান, আগুনে পুড়ে যাওয়া ২০টি দোকানের মধ্যে তার মালিকানা একটি টিনের দোকান রয়েছে। গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় দোকানের কোন মালামাল বের করতে পারেননি। তিনি একেবারে নি:স্ব হয়ে গেছেন বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
এজি ফার্মেসির মালিক ফরহাদ হোসেন বলেন, বৈশাখে বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা নিয়ে নতুন করে দোকানে চালান দিয়েছি। কিছুদিন আগে বাড়ির ঘর ছুরি হয়েছে। আমার তিলে তিলে গড়া স্বপ্ন আজকে আবার আগুনে পুড়ে আমি একবারে নি:স্ব হয়ে গেছি।
চরকিং ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান, আগুনে ২০টি দোকান একেবারে ছাই হয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফার্মেসি, একটি টিনের দোকান, দুইটি মুদি দোকান, দুইটি কাপড়ের দোকান, দুইটি কসমেটিক দোকান, দুইটি ইলেকট্রনিক্স দোকান, চারটি চা দোকান, একটি ডেকারেটরের দোকানসহ ২০টি দোকান রয়েছে।
হাতিয়া ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, অগ্নিকাণ্ডের অনেক পরে তাদেরকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। তাও ৯৯৯ থেকে তাদেরকে সংবাদ দেওয়া হয়। এলাকাটা উপজেলা সদর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় যেতে সময় লেগেছে। তারা যাওয়ার অনেক আগে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অধিকাংশ দোকান। তবে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
চরকিং ইউপি চেয়ারম্যান নাইম উদ্দিন বলেন, আগুনে বাজারের ব্যবসায়ীরা একে বারে নি:স্ব হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।