নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি বর্মণকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউছার মিয়াকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৩ মে) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. হারুন অর রশিদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, স্কুলছাত্রী মুক্তিকে হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউছারকে স্থানীয় একটি জঙ্গল থেকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
আটক কাউছার বারহাট্টা উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার বিকালে স্কুল থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে ছালিপুর এলাকায় মুক্তি বর্মণকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে কাউছার। পরে তাকে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর পরিবারের বরাতে জানা গেছে, মুক্তি বর্মণকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই গ্রামের বাসিন্দা কাউছার মিয়া। বিষয়টি কাউছারের পরিবারকেও জানানো হয়েছিল। এ অবস্থায় মঙ্গলবার বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে মুক্তির পথরোধ করে তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে কাউছার। পরে তাকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল থেকে মুক্তিকে কোপানোর কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রটি (দা) উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচার দাবিতে বুধবার দুপুরে বারহাট্টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, ইয়ূথ গ্রুপ, কমিউনিটি ফোরাম ও সর্বস্তরের নাগরিকসমাজ এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানায় পুলিশ।