স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণকে হত্যা; অভিযুক্ত কাউছারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির
নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে কাউছার মিয়া (১৮) নামে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ মে) বিকালে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আর এ ঘটনায় কাউছার মিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
সংস্থার চেয়ারম্যান আনোয়ার-ই-তাসলিমা গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, মেধাবী স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কাউসার মিয়ার বিরুদ্ধে। এমন কোমলমতি শিশুকে হত্যার অভিযোগে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্ত কাউছারকে আটক করেছে। আমরা কাউছারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি মুক্তি বর্মণের পরিবারের পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সচেতন সমাজ ও সুশীলদের সহায়তার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের সংস্থার পক্ষ হতেও মুক্তি বর্মণের পরিবারের পাশে থাকার আশা ব্যক্ত করছি। এমন ঘটনা আর যেন না ঘটে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সচেতন নাগরিক ও সমাজের সুশীলদের একযোগে কাজ করতে হবে। সবাইকে মিলেই অপরাধ দমনে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি কাউছারের শাস্তির দাবিও করছি।
এদিকে কাউছারকে আটকের পর বুধবার বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, কাউছার মুক্তি বর্মণকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রেম নিবেদন ও উত্যক্ত করে আসছিল। মুক্তি প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় কাউছার মঙ্গলবার বিকালে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুক্তি বর্মণকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আশপাশের লোকজন আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিকাল ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, হত্যার ঘটনার পরই কাউছারকে ধরতে জেলা পুলিশের পক্ষে ৪টি দল ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে মাঠে নামে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার বিকাল ৩টার দিকে প্রেমনগর গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে কাউছারকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাউছার হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ মে) বিকালে স্কুল থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় ছালিপুরা এলাকায় কাউছার মুক্তি বর্মণকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।