ঢাকার ধামরাইয়ে চকলেট দেয়ার লোভ দেখিয়ে ভুট্টাখেতের ভেতর নিয়ে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে জিয়ারত আলী নামে একজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনাটি সমাজে জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে ধর্ষকের এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও নারী শ্রমিকের ওই শিশুকন্যার ইজ্জতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। বাকি টাকা কতিপয় অসাধু মাতবরদের পকেটস্থ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানান, ভাড়াটিয়া এক নারী শ্রমিকের মেয়ে (১১) শুক্রবার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে কাশিপুর এলাকায় খেলতে যায়। এ সময় জিয়ারত আলী নামে ওই ব্যক্তি শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ভুট্টাখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বিকাল ৪টার দিকে ওই ধর্ষকের বাড়িতে এক গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয় হয়। সালিশে সভাপতিত্ব করেন ওই ধর্ষকের ছোট ভাই আনার আলী। সালিশে ধর্ষককে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তা আদায়ও করা হয়। এ সময় শিশুর ইজ্জতের মূল্য ও চিকিৎসা খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ওই শিশুর মা বলেন, আমার বাড়ি উত্তরবঙ্গে। আমি এ এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে এক পোশাক কারখানায় চাকরি করি। আমার মেয়েকে চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এত বড় সর্বনাশ করে। আমি থানায় যেতে চাইলে তারা আমাকে বাঁধা দেয়। এরপর সালিশ বৈঠক বসে আমাকে আমার মেয়ের ইজ্জতের মূল্য ও চিকিৎসার খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা দিয়ে চুপচাপ থাকতে বলে মাতবররা।
এ ব্যাপারে জিয়ারত আলী জানান, আমর কোনো দোষ নেই। কাউকে ভালবেসে আদর সোহাগ করলে কি তা ধর্ষণ হয়। আমি ধর্ষণ করিনি। আমাকে মাতবররা জোর করে ফাঁসিয়েছে। তারা কাজটি ঠিক করেনি। আমি অসহায় পরিবারের কথা বলে জরিমানা দিয়েছি।
সালিশ বৈঠকের সভাপতি আনার আলী বলেন, আমরা সার্বিকভাবে বিবেক বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এক লাখ ২০ হাজার নয়; শুধু ২০ হাজার টাকায় ওই মেয়েটির চিকিৎসা খরচ বাবদ জরিমানা করেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে।
#যুগান্তর