এক দফা দাবির কোনো বিকল্প নেই, আন্দোলন তীব্রতর হবে: ফখরুল

সরকার জাতির সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় আছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন কায়দায় একদলীয় শাসনের জন্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। এক দফা দাবিতে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে নেমেছে। এক দফা দাবির কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল, সর্বোচ্চ আদালতের রায় লঙ্ঘন’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। বইটি লিখেছেন- সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।

বইয়ের লেখক জয়নুল আবেদীন সূচনা বক্তব্যে বলেন, এটি গতানুগতিক বই নয়, তথ্যভিত্তিক আইনগত পর্যালোচনা। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করার সাংবিধানিক ও আইনগত ব্যাখ্যা। উন্মুক্ত আদালতে দেওয়া রায় বলবৎ থাকা অবস্থায় পূর্ণাঙ্গ রায়ের আগেই সরকার তড়িঘড়ি করে পঞ্চদশ সংশোধনী করেছে, যা আদালতের রায় অনুযায়ী হয়নি এবং রায়ের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করা হয়েছে। তার দাবি, অবসর নেওয়ার ১৬ মাস পরে বিচারকের লেখা রায় আইনের চোখে রায় হিসেবে গণ্য হয় না।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, তৎকালীন প্রধান বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে পরামর্শ নিতে আটজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করলেন। তাদের মধ্যে সাতজন বললেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখা উচিত। ১৬ মাস পর ফরমায়েশি রায় লেখা হলো।

আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, এটি প্রমাণিত। দেশের মানুষ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, জনগণের সরকার চায়।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজেদের দলীয় সুরক্ষার জন্য এ ব্যবস্থা বাতিল করেছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি মীর হাসমত আলী, সাবেক বিচারপতি মিফতাহ উদ্দীন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন খান, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ইকতেদার আহমেদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, গণঅধিকার পরিষদের (নুরুল-রাশেদ) সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ।

আরো পড়ুন