উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ ম্যাচডের প্রথম রাতে ঘটে নি কোন অঘটন। জিতেছে জায়ান্টদের সবাই।
জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ড ৩ গোল দিয়েছে ক্লাব ব্রুগাকে। ডায়নামো কিয়েভের সাথে ৪ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। পিছিয়ে পড়া ম্যাচে ঘুরে দাড়িয়ে ফ্রেঙ্কভারোসকে ২-১ এ হারিয়েছে য়্যুভেন্তাস। ইস্তানবুলের সাথে ম্যানইউ’র জয় ৪-১ গোলে। তো লাইপজিগকে নেইমারের একমাত্র গোলে হারিয়েছে পিএসজি।
আগের তিন ম্যাচে দুই জয় আর বার্সার সাথে হার। টেবিলের দুইয়ে থাকা য়্যুভেন্তাসের মাঠে নবাগত ফ্রেঙ্কভারোস। হোস্টদের শুরুতেই চমকে দেয় গেস্টরা। ম্যাচের বয়স সবে উনিশ, উজুনির গোলে লিডে ফ্রেন্সভারোস।
পিছিয়ে পড়ে হুশ ফেরে য়্যুভেন্তাসের। ম্যাচে ফিরতে চালায় মরিয়া চেষ্টা। উদ্ধারকর্ত ঐ রোনাল্দোই। কুয়াদ্রাদোর সেটআপে সিআর সেভেনের নিখুত ফিনিশিং।
১-১ গোলেই শেষ হচ্ছে ম্যাচটা। এই যখন ভবিতব্য তখন ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের উল্লাসে মাতান আলভারো মোরাতা। ইনজুরি টাইমে করা ওর গোলে য়্যুভেন্তাস ম্যাচ তো জিতেছেই উঠে গেছে নকআউটে।
একই গ্রুপ থেকে সঙ্গী হয়েছে বার্সেলোনাও। সেও চার ম্যাচের সবকটায় জিতে। ডায়নামো কিয়েভের মেসিকে বিশ্রাম দেয়া বার্সা জিতেছে ৪-০ গোলে।সবগুলো গোলই সেকেন্ড হাফে। প্রথমটা করেছিলেন রাইটব্যাক সার্জিনো ডেস্ট। পরের দুইটা স্ট্রাইকার হিসেবে খেলা মার্টিন ব্রাথওয়েইটের। শেষটা গ্রিজম্যানের। চার গোলের জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই বার্সা উঠেছে নকআউটে।
গ্রুপ এইচে জম-জমাট প্রতিযোগিতা। প্রথম তিন ম্যাচে মোটে একটায় জেতা পিএসজি এদিন হারিয়েছে লাইপজিগকে। ওদের তিনে ঠেলে নিজেরা উঠে এসেছে দুই নম্বরে। তবে দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ছয়।
নয় পয়েন্ট নিয়ে একই গ্রুপে শীর্ষস্হান ধরে রেখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ওদের কাছে পাত্তাই পায় নি ইস্তানবুল। ৪-১ এর জয়ে রেড ডেভিলস টেবিলটপ।