কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার থেকে পাশের বরুড়া উপজেলা সদরে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সড়কটির আড়াই কিলোমিটার অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্ট হয়েছে। ফলে চরম ঝুঁকিতে চলাচল করছে যানবাহন। প্রতিদিন খানাখন্দের সৃষ্ট হওয়া সড়ক পথে শত শত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিক-আপ, সিএনজিচালিত অটো রিকশা চলাচল করে। জানা গেছে সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু হলেও তা চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে যানবাহনের চালকসহ যাত্রীদের।
সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের নিমসার বাজার থেকে পাশের বরুড়া উপজেলা সদরে যাওয়া এ সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত। ঢাকা থেকে কুমিল্লা হয়ে বরুড়া উপজেলা সদরে বাস যোগে পৌঁছতে দীর্ঘ প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এ অবস্থায় বরুড়া উপজেলা সদরসহ কেমতলী, আদমসার, মগুজি, বিক্রমপুর, কসমি, শাহপুর হয়ে বরুড়াছাড়াও চান্দিনা উপজেলার খোঁশবাস, বাগতলী, রামমোহন, সদর উপজেলার জাঙ্গালীয়া, কৃষ্ণপুর, মনশাসন, কাবিলা, কালিবাজার, ধনুয়াখোলা, নিমসার সংলগ্ন মোকাম, কেদারপুর, পাচকিত্তা, হালগাঁও গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন।
নিমসার কাঁচাবাজার থেকে সবজিবাহী কমপক্ষে শতাধিক মিনি ট্রাক প্রতিদিন ওই সড়ক ব্যবহার করে জেলার বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির বুড়িচং অংশের নিমসার বাজার থেকে কেদারপুর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার অংশের প্রায় পুরোটাজুড়েই অসংখ্য খানাখন্দ হয়ে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচল করছে চরম ঝুঁকিতে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহজালাল- জাকিরসহ একাধিকজন জানান, সড়কটির মাঝে খানাখন্দ থাকায় প্রায়ই উল্টে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। বৃষ্টিতে পানি জমে থাকায় সড়কটির পাশ দিয়ে পথচারীরা হাটাচলা করতে পারছেন না। দীর্ঘ সময় ধরে এই অবস্থার কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে দুর্ভোগ। এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে কাজটি শেষ হচ্ছে না।
বিষয়টি জানতে চাইলে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী রেজা-ই রাব্বী বলেন, সড়কটির দু’পাশে থাকা দোকান, বাসা-বাড়ি উচুঁ হওয়ায় যেমন বৃষ্টিতে পানি জমে রাস্তা ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি সড়কের পাশে রয়েছে জলাশয়, জমি, মৎস্য খামার। এ অবস্থায় প্রয়োজন রিটার্নিং দেয়াল নির্মাণ এবং সড়কের উপর মাটি ফেলে উচুঁ করা। কিন্তু দরপত্রে সেই বরাদ্দ না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে ঠিকাদার বর্তমানে কাজ বন্ধ রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, বৃষ্টি কমে গেলে শিগগিরই সড়কের কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য বুড়িচংয়ের নিমসার থেকে বরুড়া উপজেলা সদরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার।