রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ রাখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে রংপুর চিনিকলের শ্রমিক ও চাষিরা। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) মহিমাগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে তারা। এসময় ক্ষোভে-দুঃখে নিজের আখক্ষেতে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ করে এক আখচাষি।
পরে সংবাদ সম্মেলনে ২০ থেকে ২৩ ডিসেম্বর বিক্ষোভ এবং ২৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) চিনিকল চালুর দাবিতে মহিমাগঞ্জে হরতাল আহবান করে শ্রমিক ও চাষিরা। দাবি আদায় না হলে রাজপথ-রেলপথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলের সামনে গোবিন্দগঞ্জ- মহিমাগঞ্জ সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকেন। এ সময় এ পথে চলাচলকারী ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। বেলা ১২টা থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে রংপুর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন, আখচাষি সমিতি, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সম্মিলিতভাবে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
এতে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। এর সাথে ২৪ ডিসেম্বর মহিমাগঞ্জ এলাকায় অর্ধদিবস হরতাল পালন করা হবে। এরমধ্যে দাবি মানা না হলে আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে হরতাল, রাজপথ-রেলপথ অবরোধ, গণঅনশন ও চিনিকলের আওতাধীন সব জমির দণ্ডায়মান আখ আগুনে পুড়ে দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন মিলস গেট সাবজোনের গোপালপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান নামে এক আখচাষি বেলা একটার দিকে তার এক একর জমির আখে আগুন লাগিয়ে দেন। সংবাদ পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সোনাতলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বিক্ষুব্ধ আখচাষি জিল্লুর রহমান বলেন, রংপুর চিনিকলের চেয়ে ছোট জয়পুরহাট চিনিকলে আখ দিতে গেলে তাদের জমিতেই আখ শুকিয়ে যাবে। ছয় মাসেও তারা আখ মাড়াই করতে পারবে না। এর ফলে ধানের আবাদও করা সম্ভব হবে না। তাই এ আখ পুড়িয়ে দিলে আগামী বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ করা যাবে।