শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ৮-১০ বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী অজ্ঞাত এক মেয়ে শিশু পাওয়া গেছে। ১৮ অক্টোবর রোববার বিকেলে ‘নকলা প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী হিতৈষী সংস্থা’র সহায়তায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমানের মানবিক প্রচেষ্টায় ওই মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুটিকে নকলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি করার সময় ইউএনও জাহিদুর রহমানের সাথে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. আলমগীর হোসেন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. মোখলেছুর রহমান, নকলা প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী হিতৈষী সংস্থার ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক ও সমাজ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম রিজনসহ চিকিৎসক ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন যাবত নকলা ঝুমুর সিনেমা হল চত্তর, উপজেলা পরিষদের রাস্তা ও নকলা-চন্দ্রকোনা রাস্তায় ৮-১০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক মেয়ে শিশুকে ঘোরাঘুরি করতে দেখতে পান। সকলেই প্রথমে মনে করেন মেয়েটি এলাকার কোন এক পরিবারের হবে হয়তো। কিন্তু ৪-৫ দিন একাধারে লক্ষহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে অনেকে শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করতেই সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এতে সকলের সন্দেহ হয় এবং নিশ্চিত হন যে, শিশুটি মানসিক ভাবে প্রতিবন্ধী। এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে নকলা প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী হিতৈষী সংস্থা’র সদস্যদের শিশুটিকে খোঁজে বের করতে নির্দেশ দেন। ইউএনও মহোদয়ের এমন নির্দেশনা পেয়ে নকলা প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী হিতৈষী সংস্থা’র সদস্যরা মানসিক প্রতিবন্ধী ওই শিশুটিকে খোঁজে বের করতে তৎপর হয়। পরে আজ রোববার বিকেলে শিশুটিকে উপজেলা পরিষদ পুকুর পাড়ে বসা থাকতে দেখে নকলা প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী হিতৈষী সংস্থার ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক ও সমাজ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম রিজন ইউএনও জাহিদুর রহমানকে জানালে তাৎক্ষনিক শিশুটিকে উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে ভর্তি করাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
ইউএনও জাহিদুর রহমান জানান, নকলা প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী হিতৈষী সংস্থা’র সহায়তায় মেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়ার উদ্দেশ্যে নকলা হাসপাতালে ভর্তি করাতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। তবে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে তথা শিশুটির বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুক পেইজে, নিজ নিজ টাইম লাইনে এবং বিভিন্ন পোর্টাল পেপারে ও প্রিন্ট পেপারে খবর আকারে প্রকাশ করতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। সকলের সহায়তায় এই শিশু মেয়েটি ফিরে যেতে পারে তার পরিবারের কাছে। আর শিশুটির বাবা-মা ফিরে পেতে পারেন তাদের আদরের সন্তানকে। এমন মানবিক নির্দেশনা পেয়ে নকলা প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী হিতৈষী সংস্থা’র সভাপতি আসাদুজ্জামান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী রাজন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল আমিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল-আমীন, সদস্য মো. মোশারফ হোসাইনসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্য তৎপর ছিলেন। আর তাদের অনুসন্ধানী তৎপরতায় আজ শিশুটি চিকিৎসা নেওয়ার সুবিধা পেয়েছে। এ জন্য ইউএনও জাহিদুর রহমান সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। এখন সকলের সহায়তা পেলে শিশুটি তার বাবা-মাকে ফিরে পেতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।