শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার নকলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ বিধি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে স্মারক লিপি প্রদান করেছে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা। বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন নকলা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা’র কাছে এ স্মারক লিপি প্রদান করেন।
জানা গেছে, নিয়োগ বিধি সংশোধন করে স্বাস্থ্য সহকারীদের ১৩ তম গ্রেড, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১২ তম গ্রেড ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের ১১ তম গ্রেড প্রদান করে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবীতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে যথাযথ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
স্মারক লিপি প্রদান করার সময় উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মাসুদুল আলম, হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বাস্থ্য সহকারী আনোয়ার হোসেন, নকলা উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক মাসুম বেলাল, স্বাস্থ্য সহকারী মনতাজুর রহমান লতা, হাবিবুর রহমান, রেজাউল করিম, খন্দকার শরীফ হোসেন, শাহীনুর আলম, নাহিদুর রহমান, সোহেল রানা, ফরহাদ মিয়া, মমতাজ বেগম, আফরোজা বেগম, জাহিদা আক্তার, নাসরিন জাহান, হাফছা আইরিন মিলিসহ আন্দোলনরত হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাকর্মী ও সদস্যবৃন্দ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্মারক লিপি জমা দেওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসনের ঘোষনা দেন। অত:পর ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারী মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের ন্যায্যদাবী সমূহ মেনেনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারীতে আমরা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম বর্জন করলে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় আমাদের দাবী সমূহ পুনরায় মেনেনিয়ে লিখিত সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেন। দু:খ জনক হলেও সত্যি যে, ওই লিখিত সমঝোতা পত্রের সিদ্ধান্ত অজ্ঞাত কারনে অদ্যবধী বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই আমরা আমাদের ন্যায্যদাবী আদায়ের লক্ষে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম বর্জনসহ কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ নভেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে জেলা, বিভাগ, এনএসআই, মহাপরিচালক ও দাতা সংস্থার বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মেলন, ২৬ নভেম্বর থেকে ইপিআইসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষনা করা হবে। তাঁরা আরও বলেন, আমাদের চাকুরীর প্রারম্ভিক কাল হতে অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত হয়ে চরম বৈষম্যের শিকার; অথচ টিকাদান কর্মসুচিতে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল। শুধু টিকাদান নয় এর ধারবাহিকতা বজায় রেখে আমরা নিরলস কাজ করে আসছি। বক্তারা বলেন, আমাদের নিয়োগ বিধি সংশোধন করে অতিদ্রুত বেতন বৈষম্যদূর করতে হবে। নতুবা সারাদেশ ব্যাপী কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে, যা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে কারও কাম্য নয়।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, উপজেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের একটি স্মারক পেয়েছি। স্মারক লিপির বিষয়টি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে বলে তিনি জানান।