গৃহবধূসহ শিশু অপহরণ মামলায় লুৎফর রহমান নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) আহসান তারেক এই দণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডিত লুৎফর রহমান কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে। সে দীর্ঘ দিন থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ধলাগাছ গ্রামে বসবাস করছিলেন।
মামলা সূত্র জানা যায়, ধলাগাছ এলাকার রাজমিস্ত্রি মতিয়ার রহমানের স্ত্রী মোছা. ছাবিয়া খাতুনকে নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দিতো প্রতিবেশী লুৎফর রহমান। এতে রাজি না হওয়ায় ২০০৪ সালের ১০ জুন দুপুরে গৃহবধূ ছাবিয়া খাতুন ও তার শিশু কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় লুৎফর রহমান।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মতিয়ার রহমান বাদি হয়ে লুৎফর রহমানকে আসামি করে ২০০৪ সালের ১৬ জুন সৈয়দপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে থানার উপ-পরিদর্শক বাবুল আক্তার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। চার্জশীটের ভিত্তিতে ২০০৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/০৩) এর ৭ ধারার অপরাধ বিচারার্থে আমলে নেয় আদালত। এরপর ২০০৮ সালের ১২ মে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী বলেন, আসামি লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।
আসামি লুৎফর রহমান পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতে ওই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক বলে জানান তিনি।