নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লালমনিরহাটের আদিতমারীতে ফসলি জমিতে ইটভাটা, অভিযোগ করেও সুফল মিলছে না।
নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বা অনুমোদন। কিন্তু তারপরও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে লালমনিরহাটের আদিতমারীতে ফসলি জমিতে ইটভাটা গড়ে তুলছেন কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। ভুক্তভোগীরা বলছেন, প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও সুফল মিলছে না।
দিগন্তজুড়ে ফসলের মাঠ। কিন্তু এই ফসলি জমিতেই নির্মিত হচ্ছে ইটভাটা। তোলা হচ্ছে জমির উর্বর মাটি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে ভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের নামুড়ি গ্রামে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী এন্তাজ আলীসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী এই অবৈধ ইটভাটা নির্মাণ করছেন। প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও পাওয়া যায়নি সুফল।
ইটভাটার এক অংশীদারের দাবি, পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন প্রক্রিয়াধীন।
অবৈধভাবে নির্মাণাধীন ইট ভাটা মালিকানার অংশীদার আশরাফুল আলী লাল বলেন, আমরা জমিতে কোন ক্ষতি করবো না। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র দিয়েছি। তারা এসে জমির মাপ এবং দেখে গেছে। আমরা খুব দ্রুতই ছাড়পত্র পেয়ে যাবো।
জেলার ৪৭টি ইট ভাটার মধ্যে মাত্র ২১টির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। বাকিগুলো চলছে নিয়ম অমান্য করে। তবে, এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসক আবু জাফরের। তিনি বলেন, কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন করার ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ি কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আমাদের কাছে যে অভিযোগগুলো এসেছে তা আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।
পরিবেশের বিপর্যয় রোধে কৃষি জমি ও জনবসতিপূর্ণ স্থানে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটা বন্ধের দাবি স্থানীয়দের।
#ডিবিসি নিউজ