ফেসবুকে মডেল বানানোর ফাঁদ পেতে চলতো নারী ও শিশু পাচার। ১৫ বছরের কিশোরীকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় আটকে রাখার ঘটনায় এক নারীসহ পাচারচক্রের এমন দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শিশুদের সুরক্ষায় সামাজিকভাবে যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
ফেসবুকে টার্গেট করা হয় কিশোরী ও তরুণীদের। বলা হয়, র্যাম্প মডেলিং-এর সুযোগ দেয়ার কথা। কিন্তু আসল উদ্দেশ্য ভয়ঙ্কর। এভাবে ফাঁদ পেতেই ঢাকায় ডেকে আনা হয় টাঙ্গাইলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। এরপর ১৪ দিন আটকে রাখা হয় তাকে।
গণমাধ্যমকে রোমহর্ষক সেই ঘটনা খুলে বলছিলেন ভুক্তভোগীর বাবা।
কিশোরীর বাবা বলেন, ওকে (মেয়ে) একটা চক্র র্যাম্প মডেল বানাবে বলে ঢাকায় নিয়ে আসে।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় দুই পাচারকারীকে।
রমনা বিভাগে ডিসি মো. আজিমুল হক বলেন, এ মেয়েটা ফেসবুকে বিভিন্ন সময়ে পোস্ট দেয়। তার স্ট্যাটাস নিয়ে আমরা কাজ করি। পরে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে বসুন্ধরার আবাসিক এলাকার এক নারীর বাসা থেকে আটক করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের বলছে, মানবপাচারের নিত্যনতুন পাঁয়তারা বের করে এ ধরনের চক্রগুলো।
আজিমুল হক বলেন, এ মেয়েটি চক্রগুলোর সাথে পরিচয় হয়। সেখানে কথাবার্তার এক পর্যায়ে ঢাকায় চলে আসে। সে জানে তাকে মডেল বানানো হবে। আর ছেলেটা নিয়ে আসে তার নাম ইয়াসির সাগর। সে ডিজি পার্টির সদস্যা।
শিশুদের সুরক্ষায় পরিবারের পাশাপাশি সামাজিকভাবেও যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ গোয়েন্দা পুলিশের।