রাজশাহীতে জাল কাবিননামায় বিয়ে করে ধর্ষণ এবং আপত্তিকর ছবি তুলে এক ছাত্রীকে জিম্মি করার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রী অভিযোগ দিলে পুলিশ ওই প্রতারক যুবককে আটক করে ছবিগুলো উদ্ধার করেছে। তার বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন সানি আহমেদ নামের এক যুবক। কিছুদিন পরে মেয়েটিকে বিয়েও করেন ওই যুবক। এরপর বউকে নিয়ে কখনো কক্সবাজার, কখনো রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে গিয়ে যৌন সম্পর্ক করেন সানি। সেই সময় বেশকিছু অন্তরঙ্গ ছবিও তুলেন দুজনে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ওই মেয়েটি জানতে পারেন ছেলেটির আরেকজন স্ত্রী রয়েছে। কিন্তু সেই তথ্য গোপন করে তাকে বিয়ে করেন সানি। তার বাবার নাম আলমগীর হোসেন।
প্রথম স্ত্রীর বিষয়টি জানার পর নিজের বিয়ের কাগজপত্রের খোঁজ নিতে যান ওই কলেজছাত্রী। সেখানে সে জানতে পারেন ভয়ানক প্রতারণা করা হয়েছে তার সঙ্গে। অর্থাৎ তার বিয়ের কাবিননামার কাগজটিও জাল। ভুয়া কাজী সাজিয়ে জাল কাগজে বিয়ে করেন ওই যুবক।
ওই ছাত্রীর অভিযোগ, বিয়ের পর যখন তিনি জানতে পারেন সানি তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তখন তিনি সানির কাছ থেকে সরে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু যৌন সম্পর্কের আপত্তিকর ছবি দিয়ে একের পর এক ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করতে থাকে সে। ওই ছবি কখনো মেয়েটির ম্যাসেঞ্জারে দিয়ে আবার কখনো ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেয় সে।
সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রধান এএসপি উৎপল কুমার বলেন, নগরীর বোয়ালিয়া থানায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দেয় ওই কলেজছাত্রী। অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে রেকর্ড করে তদন্ত করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, মেয়েটির অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে কাজ করে মহানগর পুলিশের নবগঠিত সাইবার ক্রাইম ইউনিট। এরপর সাইবার ক্রাইম ইউনিট করে মেয়েটির সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়ংকর অপরাধের চিত্র উদঘাটন করে। পরে ওই যুবককে আইনের আওতায় আনা হয়।