লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে কিশোরী গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী নুর মোহাম্মদ নুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) ভোরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার সহযোগিতায় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে একটি আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেফতার করে।
অন্য আসামীদের গ্রেফতারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।
থানা সূত্র জানায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা বাউরা এলাকার এক কিশোরী রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় তার আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় জেলার পাটগ্রাম রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে। ট্রেনটি কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে ওই কিশোরী চা পান করার জন্য প্লাটফর্মের এক রেস্টুরেন্টে যায়। কিন্তু তার ফিরে আসতে বিলম্ব হওয়ায় তাকে রেখেই ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। এরপর বাড়ি ফিরে আসার জন্য একটি অটোরিকশা ভাড়া করে সে। অটোরিকশা চালক নুর মোহাম্মদ তাকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কিশোরীকে নিয়ে যায় তালুক বানীনগর এলাকায়। সেখানে আরেও বেশ কয়েকজন মিলে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা কিশোরীকে ও্তই এলাকার একটি বাড়িতে আটকে রাখে। সেখানে আবার ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। বিষয়টি আচঁ করতে পারে স্থানীয়রা। পরে এলাকাবাসী সেখানে কাকিনা ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ধর্ষকদের শালিস করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
এরপর ওই কিশোরী কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে যায় এবং সাংবাদিকদের ঘটনাটি জানায়। সাংবাদিকরা পুলিশকে জানালে তারা কিশোরীকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। ওই রাতেই কাকিনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলামসহ ১০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে কিশোরী। মামলায় প্রধান আসামী করা হয় অটোরিকশা চালক নুরকে।