সিদ্ধিরগঞ্জে বহুতল ভবনের ছাদে পাওয়া লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। পূর্বের স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রী হত্যা করেছিলো তার বর্তমান স্বামীকে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। নিহত হতভাগার নাম সুমন (৩২)।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইশতিয়াক রাসেল জানান, প্রথমে আমরা নিহত সুমনের স্ত্রী ডলি আক্তারকে (৩৬) সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে গ্রেফতার করি। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন থেকে মীর আব্দুস সালামের ছেলে মুজাহিদ মীর লিমন (১৮), সেকেন্দার আলী মজুমদারের ছেলে আলামিন (৪০) গ্রেপ্তার করি। তবে ডলির পূর্বের স্বামী মীর আব্দুস সালাম পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা পরকীয়ার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ। ডলি আক্তার নিহত সুমনের স্ত্রী। সে দীর্ঘদিন ধরে সুমনের অজ্ঞাতে পূর্বের স্বামী আব্দুস সালামের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ডলি আক্তারকে ডিভোর্স দিতে সুমনকে চাপ প্রয়োগ করেন আব্দুস সালাম। সুমন তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে অস্বীকৃতি জানালে আব্দুস সালাম ও তার ছেলে মুজাহিদ মীর লিমন, আলামিন ও ডলি আক্তার মিলে সুমনকে তারই সিদ্ধিরগঞ্জের কলসী বিল্ডিংয়ের ঐ বাসার ৫তলায় খাবারের সাথে নেশাজাতীয় অতিরিক্ত টেবলেট সেবন করিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। হত্যাকাণ্ডের পর তারা লাশ গুম করার পরিকল্পনা করেও ব্যর্থ হয়ে বাড়ির ছাদে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। হতভাগা সুমনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার নুতন বাজার এলাকায়। তার পিতার নাম সামছু শেখ।
উল্লেখ্য, শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় হাবিবুল্লাহ হবুল মালিকানাধীন কলসী বিল্ডিং এর ৫তলা ভবনের ছাদে স্থানীয় লোকজন লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।