সড়ক নিরাপত্তায় প্রণয়ন করা নতুন ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ আংশিকভাবে কার্যকর রয়েছে। তবে সবার সহযোগিতায় অচিরেই এ আইন পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যকর করা হবে। এমনটা জানালেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের উদ্যোগে বেসরকারি সংগঠন ‘নিসচা’-এর ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান সেতুমন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ ও ভ্রমণবান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সড়কের পাশে যত্রতত্র বাস থামানো বন্ধে পরিকল্পিত বাস স্টপেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত গতিরোধক দুর্ঘটনা ঘটায়। তাই সড়কের সাড়ে পাঁচশ’ অপরিকল্পিত গতিরোধক এরই মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।
আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনায় অংশ হিসেবে উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও চালু করা হয়েছে রোড সেফটি অডিট উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত সড়ক ও অধিদফতরের আওতাধীন প্রায় পাঁচশ’ কিলোমিটার মহাসড়কে রোড সেফটি অডিট পরিচালনা করা হয়েছে । বর্তমানে তিনশ’ কিলোমিটারে অডিট কার্যক্রম চলমান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিগত এক যুগে প্রায় সাড়ে চারশ’ কিলোমিটার মহাসড়ক চার বা আরও বেশি লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
গাড়িচালক বিশেষ করে ট্রাকচালকদের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে চারটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।
তিনি জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমিয়ে আনতে হাইওয়ে পুলিশের জনবল ও সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী কাদের আরও বলেন, সড়ক ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশের মাঝে সচেতনতার অভাব প্রকট, তাই জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এনজিও ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে অধিকতর সম্পৃক্ত হতে হবে।
তিনি বলেন, কোনোভাবেই বেপরোয়া গাড়ি চালানো যাবে না। চালকদের কাউন্সিলিং করার জন্য মালিক-শ্রমিকদের গুরুত্ব দিতে হবে।