করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় অলিম্পিকে অংশ নেয়া অ্যাথলেটদের করোনা পরিক্ষা করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি গুরুত্ব দেবে স্বাগতিক দেশ জাপান। এমনটাই জানিয়েছেন অলিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী তোশিরো মুতো। যদিও জাপানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক নয় বলেও জানান তিনি।
২০২০ সালের ২৪ জুলাই জাপানের টোকিওতে হওয়ার কথা ছিলো গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক। কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোভিড নাইন্টিন মহামারি আকার ধারণ করায়,সবকিছুই যেনো থমকে যায়। তারপরও অ্যাথলেটদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয় দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। নতুন সূচী অনুযায়ী ২০২১ সালের ২৩ জুলাই পর্দা উঠবে টোকিও অলিম্পিক গেমসের।
তবে যতই দিন যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। তাইতো আগামী বছরে করোনা কমবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই অবস্থায় অলিম্পিকের ভবিষ্যত নিয়ে আইওসি ও আয়োজক জাপান বেশকবার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে। যেখানে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সহ সভাপতি জন কোটস জানান,বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া কোন কিছুতেই অলিম্পিক বন্ধ থাকেনি। কোভিডের মধ্যেই যে কোন মূল্যে অলিম্পিক আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর আইওসি।
যদিও টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় অনেক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আয়োজক জাপানকে। তবে করোনার কঠিন সময়ের সাথে লড়াই করে আবারো অলিম্পিক আয়োজনে বেশকটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। যেখানে গেমস ভিলেজ প্রস্ততসহ অ্যাথলেটদের সুরক্ষার দিকটি বিশেষভাবে নজর দিয়েছে আয়োজক জাপানও। মেগা এই আসরে অংশ নেয়া অ্যাথলেটদের করোনা পরিক্ষা করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি গুরুত্ব দেবে স্বাগতিক দেশ।
অলিম্পিক আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী তোশিরো মুতো বলেন, ‘টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেয়া অ্যাথলেটদের জাপানে আসা-যাওয়ার সময় সবার করোনা পরিক্ষা করবে। তবে অ্যাথলেটরা নিজ নিজ দেশ থেকে আসার সময় বাধ্যতামূলক কোভিড পরিক্ষা করতে হবে। আমরা সবার সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। যদিও জাপানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক নয়।’
করোনার আঁধার কেটে উঠে আসবে নতুন ভোর। সেই সাথে যথাসময়েই অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে।এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজক জাপানের।