সাড়ে ৫ মাস পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। বুধবার ভোর রাতে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। আপাতত বনানীর বাসায়ই থাকবেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। করোনা টেস্টে নেগেটিভ হলে শুরু হবে তার মাঠে ফেরার প্রস্তুতি। আগামী ২৯শে অক্টোবরের আগ পর্যন্ত বিসিবির ব্যবস্থাপনায় ঢুকতে পারবে না সাকিব। তবে বোর্ডের কোন কোচ ব্যক্তিগত ভাবে চাইলে কাজ করতে পারবেন সাকিবের সাথে।
দেশের বাইরে থেকে সাকিব আগেও ফিরেছেন বহুবার। তবে এবারকার ফেরাটা অন্য যে কোন বারের চেয়ে একেবারেই আলাদা। এই ফেরা দিয়েই শুরু হবে দেশসেরা অলরাউন্ডারের ক্রিকেটে ফেরার লড়াই। আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে আবারো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব আল হাসান। করোনা টেস্টে নেগেটিভ হলেই প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতিতে। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠার আগ পর্যন্ত সাকিবকে কোন গাইডলাইন দিতে পারছে না বিসিবি।
বিসিবির সুযোগসুবিধা যেহেতু নিতে পারবে না তাই নিজেদের বেড়ে ওঠার প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিকে বেছে নিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার। সেখানেই নিবিড়ভাবে চলবে তার একক অনুশীলন। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিসিবির কোচরা চাইলেই সাকিবের সাথে কাজ করতে পারবেন।
সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই লঙ্কা সফরে প্রথম টেস্ট খেলে ফেলবে টাইগাররা। দ্বিতীয় টেস্টে সাকিবকে মাঠে নামাতে চায় বিসিবি। আর তাই নিষেধাজ্ঞা শেষের দুই সপ্তাহ আগেই তাকে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছে বোর্ড। ওখানে গিয়ে আলাদা অনুশীলন করতে হবে সাকিবকে। নিষেধাজ্ঞার আগে রঙিন পোশাকের দুই ফর্মেটেই টাইগারদের ক্যাপ্টেন ছিলেন। প্রত্যাবর্তনেই কি অধিনায়কত্ব ফিরে পাচ্ছেন সাকিব?