মিরপুরে ব্যক্তিগত ঐচ্ছিক অনুশীলনে বিসিবি’র গাইডলাইন কড়াকড়িভাবে মানা হলেও, ঢাকার বাইরের ভেন্যুগুলোতে নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। মুখে মাস্ক ছাড়াই একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে কাজ করছেন একই ট্রেইনার। মাঠে কেবল ট্রেইনার থাকার কথা থাকলেও অবস্থান করছেন বাইরের অনেকে। বিষয়টি আমলে এনে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী। একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে অনুশীলনে মাস্ক ব্যবহার নিয়েও নতুন সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিলেন নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
ভেন্যু খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম। ট্রেইনার আসলামের সঙ্গে ফিটনেস নিয়ে কাজ করছেন মেহেদি মিরাজ। জিমে সদস্য বৃদ্ধি আর ক্যামেরার উপস্থিতিতে মুখে উঠলো মাস্ক। তবে নাকটা খোলাই রইলো। অথচ কিছুক্ষণ আগেও এই ট্রেইনারকে দৌড়াতে দেখা গেলো এক স্থানীয় ক্রিকেটারের সঙ্গে। সেখানেও কোভিডের রক্ষাকবচের প্রতি অনীহা। তাহলে কতটুকু নিরাপদ জাতীয় দলের এই ক্রিকেটাররা?
তবে গেলো বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের সঙ্গে কাজ করা এই ট্রেইনারের মাস্ক না ব্যবহারে আছে ভিন্ন যুক্তি।
এ বিষয়ে ট্রেইনার আসলাম বলেন, আমি মাস্ক পরিনি কারণ আমি রানিং করছিলাম। রানিংয়ে মাস্ক পরলে সমস্যা হয়। এখন জিমে যাবো, সেখানে মাস্ক পরবো।
সিলেটের চিত্রটাও প্রায় একই রকম। সামাজিক দূরত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একেবারে পাশাপাশি চেয়ারেই মাস্ক ছাড়া বসে পেসার এবাদতের সঙ্গে কথা বলছেন ট্রেইনার। খানেক বাদে উঠে গেলেন আরেক পেসার রাহির কাছে।
বিসিবি’র পক্ষ থেকে পরিষ্কার নির্দেশনা আছে, গ্রাউন্ডসম্যানদেরও থাকা যাবেনা অনুশীলনের সময়। অথচ এখানে নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও দেখা গেলো দুজন দর্শককেও। রাজশাহীতে ক’দিন আগেও দেখা গেছে ট্রেইনার ছাড়া একঝাঁক নেট বোলারকে নিয়ে অনুশীলন করছিলেন তরুণ ওপেনার শান্ত।
গণমাধ্যমের খবরের পর মিরপুরে আরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন ট্রেইনাররা। তবে ঢাকার বাইরে বাকি ছয় ভেন্যুকে কিভাবে সামলাবে বিসিবি?
প্রশ্নের উত্তরে বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি জানা নেই তাদেরও। তিনি বলেন, ভেন্যুগুলোর সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদেরকে সব
নির্দেশনা দেয়া আছে। যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা জানলাম তাই আবারো বিষয়টা দেখবো।
দ্বি-মতের সুযোগ নেই, রানিং বা জিম সেশনে মাস্কের ব্যবহারটা কষ্টকর। ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতা জেনে তাই মাস্ক ব্যবহারের ব্যাপারে আবারও ভেবে দেখছে বিসিবি’র মেডিক্যাল টিম। তবে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, অনেকেই বলছেন যে মাস্ক পরে ট্রেনিং করা বা কাউকে সহযোগিতা করাটা প্র্যাকটিক্যালি খুবই কঠিন। তারপরও আমরা দেখবো যতটুকু সম্ভব তারা যেন বিষয়গুলো মেনে চলে।
নজরদারির দায়িটা অবশ্যই বিসিবি’র। তবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিটাতো একান্ত ব্যক্তির। সেক্ষেত্রে ক্রিকেটার আর ট্রেইনারকেও আরেকটু দায়িত্বশীল হবার পরামর্শ বিসিবি’র।