বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে টস হয়নি। পরে যখন খেলা শুরু হয়, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না ইংল্যান্ড। পাকিস্তানি বোলারদের তোপে একটা সময় ১২৭ রানে ৪ টপ অর্ডারকে হারিয়ে বিপদই দেখছিল স্বাগতিকরা।
সেখান থেকে ইংল্যান্ড দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জ্যাক ক্রলির ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে। সাউদাম্পটনে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। পঞ্চম উইকেটে জস বাটলারের সঙ্গে তিনি অবিচ্ছিন্ন আছেন ১০২ রানে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২৯ রান। ১৭১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা ক্রলি অপরাজিত আছেন ১২৩ রানে। ২০৫ বল মোকাবেলায় ১৪টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন এখন পর্যন্ত। বাটলার অপরাজিত ৪৩ রানে।
অথচ ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ররি বার্নসকে (৬) তৃতীয় স্লিপে শান মাসুদের ক্যাচ বানান শাহীন শাহ আফ্রিদি। এরপর জ্যাক ক্রলির সঙ্গে ডম সিবলির ৬১ রানের জুটিটি ভাঙেন ইয়াসির শাহ। পাকিস্তানি লেগস্পিনারের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হন ২২ রান করা সিবলি।
দারুণ খেলে যাচ্ছিলেন জো রুট। কিন্তু নাসিম শাহর দুর্দান্ত এক ডেলিভারির জবাব ছিল না। উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানও ক্যাচটি নিয়েছেন দারুণভাবে, ইংলিশ দলপতি ফেরেন ২৯ করে। এরপর অলি পোপকে ৩ রানেই বোল্ড করে ইংলিশদের আরও চাপে ফেলে দেন ইয়াসির শাহ। সেখান থেকে ক্রলি-বাটলারের জুটি।