পাকিস্তানের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা না পাওয়ায় হতাশ ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট। তবে এখনই রুটকে বাতিল বলে দিতে চান না ইসিবির নির্বাচক এড স্মিথ। তার মতে, রুটের এখনো অনেক সম্ভাবনা আছে। তবে আপাতত টি-টোয়েন্টির জন্য তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে না। টেস্ট এবং ওয়ানডের আধিক্যের কারণেই এ সিদ্ধান্ত বলে জানান স্মিথ।
ক্যালেন্ডার বলছে, সময় গড়িয়েছে মাত্র ৪ বছর। পারফরম্যান্সের হিসেব করলে এ সময়টা খুব একটা খারাপ কাটেনি জো রুটের। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় সেরা রান স্কোরার হয়েও, তাই বারবার দলে ব্রাত্য থাকায় যারপরনাই হতাশ থ্রি লায়নদের টেস্ট অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টির সে আসর থেকে আজ পর্যন্ত ৩০টির’ও বেশি সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ম্যাচ খেলেছে ইংলিশরা। অথচ ১২’তেই আটকে আছে রুটের গুণতি। ২৯ দশমিক ৯ গড়ে এবং ১০৮ এর মতো স্ট্রাইক রেটটা নাকি ঠিক যায় না ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে।
ইসিবি নির্বাচক এড স্মিথ বলেন, ‘এ মুহূর্তে যদি আমাকে দল সাজাতে বলেন, তাহলে সেখানে আমি রুটের জায়গা দেখছি না। আমরা টি-টোয়েন্টিতে ঠিক যে ধরণের ক্রিকেট খেলতে চাই, তার সঙ্গে রুটের স্ট্রাইক রেট যায় না। তাই, তাকে একাদশে রাখাটা মর্গানের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। আর তার মতো একজন ক্রিকেটারকে তো আর সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখা উচিত হবে না।’
তবে কি এখানেই ইতি জো রুটের টি-টোয়েন্টি? বিষয়টাকে অবশ্য এভাবে দেখতে চান না এড স্মিথ। রুটের মতো একজন ক্রিকেটারকে বাতিলের খাতায়ও ফেলে দিতে চান না তিনি। বরং সময়ের হাতে ছেড়ে দিতে চান জো’র ভবিষ্যৎ।
তিনি আরও বলেন, ‘রুটের জন্য সব দরজা বন্ধ, এটা আমি বলতে পারি না। সে অসাধারণ একজন ব্যাটসম্যান। তার পারদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন কারণ নেই। সে আমাদের টেস্ট অধিনায়ক। তবে, টি-টোয়েন্টিটা আমি সময়ের ওপর ছেড়ে দিতে চাই। দেখা যাক কি হয়।’
সংক্ষিপ্ত সংস্করণে দলে জায়গা না পেলেও, ওয়ানডে এবং টেস্টে ইংলিশদের মূল ভরসা এখনো রুট। তার বিকল্প ভাবার কোন কারণই নেই বলে মনে করেন ইসিবির নির্বাচক। বরঞ্চ, সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আরো বেশি বেশি রুটকে পাওয়ার জন্যই, টি-টোয়েন্টি নিয়ে ভাবতে চায় না ইসিবি।
ইসিবি নির্বাচক আরো বলেন, ‘এ মৌসুমে আমাদের অনেক ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা চাইলেই তাকে সব ম্যাচে নামিয়ে দিতে পারি না। তারও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। আর এ মুহূর্তে টেস্টে আমাদের তাকে বেশি দরকার।’
৪ মার্চ থেকে করোনা পরবর্তী টানা তৃতীয় হোম সিরিজে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। যদিও, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোন টেস্ট খেলবে না থ্রি লায়ন বাহিনী।