সদ্যনিযুক্ত কোচ রোনাল্ড কোম্যানের সবচেয়ে বড় দ্বিধাটা এখানেই। ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপে কৌতিনহোকে নিয়ে কি তার পরিকল্পনা সাজানো উচিত? যিনি কাগজে-কলমে বার্সেলোনার কিন্তু ধারে খেলছেন বায়ার্ন মিউনিখে!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের পর এই বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন কৌতিনহোও। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, ধারের মেয়াদ শেষ হলেই এ বিষয়ে জানাবেন তিনি। তবে এও জানিয়েছেন, বার্সায় ফিরতে কোনো আপত্তি নেই তার।
তিনি বলেন, অবশ্যই আগে আমাকে বার্সেলোনায় ফিরতে হবে, তারপর দেখা যাবে কি ঘটে! আমি এ বিষয়ে খুব একটা ভাবিনি কারণ পুরো ফোকাসটা ছিল আমার ফাইনালে। আমি সবসময়ই চেয়েছি পরিশ্রম করে বছরজুড়ে সাফল্য পেতে। এখন দেখা যাক কি হয়!
নিজের ক্লাব বার্সেলোনা হলেও, অবশেষে বায়ার্নের হাত ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটা জয় করা হলো কৌতিনহোর। এ নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট ব্রাজিলিয়ান তারকা।
তিনি বলেন, আমরা দারুণ একটা মৌসুম কাটিয়েছি এবং সবাই খুবই সন্তুষ্ট। ট্রফিটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। এটা একটা বিশেষ অনুভূতি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আমরা এখন অনেক আনন্দ করবো, ট্রফি উৎসব করবো।
এরইমধ্যে নতুন কোচ কোম্যান জানিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডারকে বেশ মনে ধরেছে তার। তবে কবে নাগাদ তাকে আবার বার্সা জার্সিতে পাবেন সেই অপেক্ষায় আছেন এখন এই ডাচ কোচ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে বার্সেলোনাকে লজ্জায় ডুবিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তার অন্যতম কারিগরও এই কৌতিনহো। ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে বদলি নেমেই বার্সার জালে দেন দুই গোল। অনেকেই বলছিলেন, নিজের ক্লাবের বিরুদ্ধে আলাদা ক্ষোভ কাজ করছিল কৌতিনহোর। তবে এবার তার কথায় বার্সা কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত হতেই পারেন।