মানুষের জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে ইন্টারনেট। প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। গবেষকরা নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন তথ্য স্থানান্তরের ক্ষেত্রে। তারা দাবি করছেন, প্রতি সেকেন্ডে টেরাবাইট গতির রেকর্ড করতে পেরেছেন। যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা বলছেন, বর্তমানের ইন্টারনেটের সবচেয়ে বেশি গতির চেয়ে দ্বিগুণ গতি তারা পরীক্ষায় তুলতে পেরেছেন।
গবেষকেরা বলছেন, যে প্রযুক্তিতে ১৭৮ টেরাবাইট গতি উঠেছে, তা বর্তমানে অপটিক্যাল ফাইবার পাইপে সহজে ব্যবহার করা যাবে।
ইন্টারনেটের নতুন যে গতি রেকর্ড করা গেছে, তাতে ১৫ গিগাবাইট আকারের ফোরকে মানের ১ হাজার ৫০০ মুভি এক সেকেন্ডেই ডাউনলোড করা যাবে।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘আইট্রিপলই ফটোনিকস টেকনোলজি লেটার্স’ সাময়িকীতে।
মূলত অপটিক্যাল ফাইবারে মাধ্যমে বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত ইন্টারনেট পরিচালিত হয়, যাতে পতন থেকে রক্ষা করে অ্যামপ্লিফায়ার আলোকসংকেতকে।
বর্তমানে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে। এতে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও ব্যান্ডউইথের। এখনো ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে রয়েছে বিশ্বের ৪০ শতাংশ মানুষ।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশলী লিডিয়া গ্যালডিনো বলেন, সেকেন্ডে ৩৫ টেরাবাইট পর্যন্ত তথ্য স্থানান্তরিত হয় বর্তমান ক্লাউডভিত্তিক ডেটা সেন্টারের মধ্যকার সংযোগ মাধ্যমে। আমরা নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি, যা আরও কার্যকর উপায়ে বর্তমান অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারে। আমরা প্রতি সেকেন্ডে ১৭৮ টেরাবাইট তথ্য স্থানান্তরের রেকর্ড গড়েছি অপটিক্যাল ফাইবার ব্যান্ডউইথের যথাযথ ব্যবহার করে।