প্রায় ছয় দশক ধরে যারা নারীর সৌন্দর্যের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে আসার চেষ্টা করছে, সেই প্লেবয় পত্রিকার অন্যতম মডেল ক্রিস্টাল হেফনার এবার কথা বললেন স্বাভাবিক সৌন্দর্যের। শুধু মডেলই নন, ক্রিস্টাল এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা হিউ হেফনারের স্ত্রীও।
২০১৭ সালে হিউ মারা যান। তার এক বছর আগে, ২০১৬ সালে স্তনের কসমেটিক সার্জারি করিয়েছিলেন ক্রিস্টাল। সেই ফ্যাট ট্রান্সফার সার্জারি তাকে প্রায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় বলে জানিয়েছেন এই মডেল। ইনস্টাগ্রামে নিজের জীবনে সেই করুণ পরিণতির কথা জানালেন এই মডেল।
বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে ব্যান্ডেজ বাঁধা নিজের ছবি পোস্ট করে ক্রিস্টাল লেখেন, ২০১৬ সালের সেই অস্ত্রোপচারে তার এমন পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়, যা তাকে প্রায় মেরেই ফেলেছিল। হাসপাতালে ভর্তি করে রক্তও দিতে হয়। ক্রমে তিনি তার শরীরের জমা ‘টক্সিক’ রাসায়নিক সম্পূর্ণ বের করে দিতে পেরেছেন।
এখন তার মত, প্রকৃতি আমাদের যেভাবে বানিয়েছে, নিজেদের সেভাবেই মেনে নেওয়া উচিত। সেটাই প্রকৃত সৌন্দর্য। পুরুষশাসিত চলচ্চিত্র দুনিয়ারও তিনি সমালোচনা করেছেন।
তার বক্তব্য, নকল সৌন্দর্য্যের বিজ্ঞাপন, পরিস্থিতিটাকে আরো ভয়াবহ করে দিয়েছে। আমিও সেই দোষে দুষ্ট। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যাদের দেখে আগামী প্রজন্ম সৌন্দর্য্যের সংজ্ঞা শিখতে পারে, তারাই তো ফিল্টার ছাড়া নিজেদের ছবি প্রকাশ করতে পারেন না। ত্রিশের কোঠায় এসে তার এই উপলব্ধি হয়েছে বলে তিনি জানান।
প্লেবয় পত্রিকার মডেলের এই উক্তিতে ইতোমধ্যেই উত্তাল নেটদুনিয়া। তার অনুরাগীরা তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, এই সাহসী মন্তব্যের জন্য।