পরীক্ষামূলক মাঠে দর্শক আসার অনুমতি দিয়েই সফল ইংলিশ লিগ কর্তৃপক্ষ। ব্রাইটন আর চেলসির প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে প্রবেশ করেছিল প্রায় আড়াই হাজার দর্শক। এত দর্শক মাঠে ফেরায় ভীষণ অনুপ্রাণিত ব্রাইটন কোচ গ্রাহাম পটার। আর আয়োজকরা আশাবাদী আবারো মাঠে দর্শক ফেরাতে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বিশ্বব্যাপী আলাদাভাবে জনপ্রিয় তার দর্শকদের জন্য। নিজ দল তো বটেই, প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা নিজের প্রিয় ক্লাবের জালে বল প্রবেশ করালেও ব্রিটিশরা মৃদু হাততালি দিতে ভোলেন না। সেই ফুটবল প্রিয় জাতির ফুটবল নেশায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল করোনা। মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারেননি। তবে অপেক্ষার প্রহর বুঝি ফুরোতে শুরু করেছে।
প্রাক মৌসুম ফুটবল অনুশীলনের অংশ হিসেবে ক্লাবগুলো নিজেদের মাঝে প্রীতি ম্যাচ খেলছে এই সময়টায়। অনানুষ্ঠানিক এসব ম্যাচ এতদিন হয়েছে দর্শক ছাড়াই। প্রথমবারের মত চেলসি-ব্রাইটন ম্যাচে পরীক্ষামূলক দর্শক ঢোকার অনুমতি দিয়েছিল ইংলিশ লিগ কর্তৃপক্ষ। তাতেই মিলেছে বিপুল সারা। প্রায় আড়াই হাজার দর্শক মাঠে উপস্থিত!
ব্রাইটনের সবুজ মাঠ দেখে দর্শকদের চোখ জুড়িয়েছে। তবে খেলা দেখার ছলে ভুলে যাননি সামাজিক দূরত্ব। সকলকে মাস্ক পড়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা ছিল। দীর্ঘদিন পর গ্যালারি ভরা দর্শক দেখে অনুপ্রাণিত ব্রাইটনের হেড কোচ।
গ্রাহাম পটার বলেন, ‘আমি অভিভূত। প্রথম ধাপেই এত দর্শক ভাবা যায় না। আমি তো মহামারী আতঙ্কে মাঠে দর্শক দেখতে পাবো ভাবতে পারিনি। দর্শকই মাঠের প্রাণ। তাদের ছাড়া এতদিন খেলাটা কষ্টসাধ্য ছিল।’
প্রাক মৌসুম ম্যাচে দর্শক আসলেও, এখনো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দর্শক আসার অনুমতি মেলেনি। ক্লোজডোরেই খেলবেন অলরেড থেকে সিটিজেনরা। তবে অবস্থার উন্নতি হলে দর্শকপূর্ণ গ্যালারির আশা করছে আয়োজকরা।
ব্রাইটনের প্রধান নির্বাহী পল বারবার জানান, ‘আমি ভীষণ আশাবাদী। দর্শকদের আমরা অনুরোধ করেছিলাম স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে আসতে। সেটা তারা শুনেছেন। মাঠ কর্মীরাও দর্শকদের সহায়তা করেছেন। এটা শুধু ব্রাইটনের অর্জন নয়। অনন্য দেশের ফুটবল আয়োজকরাও এ থেকে ধারণা নিবে। তাই আমি মনে করি, সে দিন খুব বেশি দূরে নেই, যেদিন সবাই আবার মাঠে বসে খেলা দেখবে।’
১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ২০২০-২১ মৌসুম।