রাজপথে আন্দোলন গড়তে ব্যর্থ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর সরকারের অনুকম্পায় মুক্তি পেয়ে বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারছেন না। ইচ্ছা থাকলেও শারীরিক কারণে এবং মুক্তির শর্তে তার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই শূন্য। অন্যদিকে বিভিন্ন মামলায় শাস্তি হওয়ায় আইনি জটিলতায় বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষেও দেশে ফিরে দলের হাল ধরা সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির ভবিষ্যৎ কান্ডারি হিসেবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্ভাবনা ছিল বেশ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি এখন তার অনুকূলে নয়। এজন্য বিএনপির হাইকমান্ড ভিন্ন কিছু ভাবছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া নিজেও পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ভাবমূর্তি বেশ প্রশ্নবিদ্ধ, সেই সঙ্গে দলেরও। বিশেষ করে চীন ও ভারত তারেকের বিষয়ে একেবারেই নেগেটিভ ধারণা পোষণ করে বলে সূত্র জানায়।
তাহলে বিএনপির হাল কে ধরবেন? বিকল্প নেতৃত্ব হিসেবে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান এবং মেয়ে জায়মা রহমানকে সামনে রেখে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে দলের ভেতরে।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নাতনি জায়মা রহমানকে খুবই ভালোবাসেন। যথেষ্ট আদরে তাকে আগলে রেখেছেন। খালেদা জিয়ার স্বপ্ন, নাতনি (জাইমা রহমান) একদিন দলের হাল ধরবে। যদিও একসময় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে খবর ছিল যে, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দলের হাল ধরছেন।
ব্যাপক দুর্নীতির বোঝা মাথায় নিয়ে ২০০৯ সাল থেকে লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান। পরপর তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে না পারা এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ব্যর্থ বিএনপির অবস্থাকে “হাড়গোড় ভাঙা ‘দ’ হিসেবে” বিবেচনা করছেন অনেকে।
অন্যদিকে, দলের ভেতরে রয়েছে নানা মতের মানুষ। কেউ কারও ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না। এদিকে খালেদা জিয়ার বয়সও হয়েছে যথেষ্ট। নানা কারণে শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। মুখে না বললেও ভেতরে ভেতরে দল গোছাতে মরিয়া দলীয়প্রধান।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাতনি জাইমা রহমান বর্তমানে বাবা-মায়ের সঙ্গে লন্ডনে বসবাস করছেন। লেখাপড়া করছেন আইন বিষয়ে। পারিবারিক রাজনৈতিক আবহের কারণ ছাড়াও নানা বিষয়ে বিএনপির রাজনীতির প্রতি তিনি সম্প্রতি বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তৃণমূল বিএনপিতে দাদি ও বাবা তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা দেখে রাজনীতির প্রতি দিন দিন আকৃষ্ট ও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তিনি— বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। সেই সঙ্গে মা ডা. জোবায়দা রহমান সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ না নিলেও অত্যন্ত রাজনীতিসচেতন ব্যক্তিত্ব। তার এমন ব্যক্তিত্ব মেয়ে জাইমা রহমানকে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হিসেবে সামনে নিয়ে আসতে পারে— ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
তাদের মতে, রাজনৈতিক মাঠে জাইমা রহমানের পদচারণা শুরু হয় দাদি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সান্নিধ্যে, বাংলাদেশে অবস্থানকালে। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কিশোরী জাইমাকে দেখা যেত বিভিন্ন অনুষ্ঠান-আয়োজনে।
সম্প্রতি লন্ডনে ব্যারিস্টারি পাস করেন জাইমা রহমান। ব্যারিস্টার হওয়ায় দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা চনমনে ভাব দেখা দিয়েছে। জাইমা দেশে ফিরে বেহাল বিএনপির হাল ধরবেন বলে জল্পনা-কল্পনাও শুরু হয়েছে।
জাইমা সত্যিই দেশে ফিরবেন কিনা, ফিরলে কবে; ফিরলেও রাজনীতিতে সক্রিয় হতে বাবা অনুমতি দেবেন কিনা— এসব বিষয় এখনও অস্পষ্ট। মেয়ের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা সম্পর্কে তারেক রহমান এখনও মুখ খোলেননি। তবে জাইমা জিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সদস্য হওয়ায় তার রাজনীতি করা, না করা নিয়ে আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। এছাড়া জিয়া পরিবার এখন রাজনৈতিকভাবে চরম দুর্দিন অতিক্রম করছে। এখন প্রয়োজন এমন একজন ত্রাতা, যার মধ্যে চেয়ারপারসনের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাবেন নেতাকর্মীরা। সেটি একমাত্র তারেক কন্যার মধ্যেই আছে— মনে করেন দলীয় নীতিনির্ধারকরা।
বিএনপিতে বিকল্প নেতৃত্ব নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা বেশ জোরদার হয়েছে। খালেদা জিয়া এখন কারামুক্ত হলেও শর্তের বেড়াজালে বন্দি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের বাইরে। ‘পলাতক’ হিসেবে লন্ডনে থেকে তিনি দল পরিচালনা করছেন। কিন্তু এভাবে প্রবাস নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপির মতো একটি বড় দল পরিচালনা বেশ কঠিন। বিএনপির সিনিয়র নেতারা বিষয়টি উপলব্ধি করলেও প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছেন না। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির পাঁচটি পদও শূন্য। বিভিন্ন টানাপোড়েনের কারণে এই শূন্যস্থান পূরণ করা যাচ্ছে না। বিএনপির কাউন্সিল বা জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানেরও কোনো উদ্যোগ নেই।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জায়মা রহমানকে বিএনপির নেতৃত্বে আনার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। অন্যদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বিষয়টিকে পরিপূর্ণ সমর্থন না করলেও একেবারে উড়িয়ে দেননি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এবং ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নেতৃত্বে আনার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তবে দলটির বর্তমান চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরামর্শেই সবকিছু পরিচালিত হবে— এমন প্রস্তাব রাখেন তিনি। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জাইমাকে গড়ে তুলতে এখন থেকেই কাজ করার পরামর্শ দেন জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘তরুণ নেতৃত্ব আসলে তবেই সুদিন ফিরবে বিএনপিতে।’ বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় দলের কাউন্সিলও জরুরি হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম এ প্রসঙ্গে তার মতামত তুলে ধরে বলেন, ‘তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান দলের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। আবার তাদের মেয়ে জাইমা ব্যারিস্টারি পাস করেছেন। তারা যদি রাজনীতিতে আসেন তাহলে বিএনপির জন্য ভালো হবে এবং রাজনীতিতেও সুবাতাস বইবে। এতে দলের নেতাকর্মীরা নতুনভাবে উদ্দীপ্ত হবেন।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দিন দিন বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ফল খুবই হতাশাজনক ছিল। নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হলেও তাদের পক্ষে সরকার গঠন করা সম্ভব হতো না। ডাকসু নির্বাচনেও বিএনপির ছাত্র সংগঠন- ছাত্রদলের ফল ছিল লজ্জাজনক। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় দলটি এখন বেশ ‘ক্লান্ত’ ও ‘অবসন্ন’। আরও কত বছর বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে থাকতে হবে, সেটাও অনিশ্চিত।
সব মিলিয়ে বিএনপি একটি নাজুক সময় পার করছে। দলটি কবে, কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, তা কেউ বলতে পারছেন না। চরম হতাশা নিয়ে বিএনপি নেতারা এখন সুদিনে ফেরার আশায় বসে আছেন। কিন্তু কীভাবে সুদিনের দেখা মিলবে, তার কোনো পথনির্দেশনাও তাদের সামনে নেই। তারেক রহমান যে এখন বিএনপির জন্য বোঝা, সেটা বুঝলেও কেউ মুখে বলতে সাহস করছেন না। দেশের ভেতরে যেমন তারেকের নেতিবাচক ভাবমূর্তি, তেমনি দেশের বাইরেও তাকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়। তাকে নিয়ে প্রতিবেশী ভারতের মনোভাবও নেতিবাচক। সেজন্য তারেক রহমানকে সামনে রেখে বিএনপি বেশি দূর এগোতে পারবে বলে মনে করেন না বিশ্লেষকরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে জিয়া পরিবারের বিশেষ মর্যাদা আছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যদি নেতৃত্ব থেকে দূরে থাকেন, তাহলে বিএনপির হাল কে ধরবে? জিয়া পরিবার ছাড়া অন্য কেউ নেতৃত্বে আসলে দলের ভাঙন অবশ্যম্ভাবী। সুতরাং বিকল্প নেতৃত্ব নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা থাকলেও তা কোনোভাবেই জিয়া পরিবারের বাইরের কেউ হবেন না, এটা স্পষ্ট। তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথিকে নিয়ে মাঝে মধ্যে আলোচনা শোনা গেলেও তা হালে পানি পায়নি। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একবার জোবাইদা রহমানের রাজনীতিতে আগমনের খবরে তাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
সবশেষে বিএনপির কান্ডারি হিসেবে তারেক-জোবাইদা দম্পতির কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নামই ভাবা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এক্ষেত্রে কেবল খালেদা জিয়া রাজি হলেই হবে, বিষয়টা তেমন নয়। জায়মার রাজনীতিতে আসতে হলে বাবা তারেক রহমানের গ্রিন সিগন্যালও পেতে হবে। এখন দেখা যাক, দলের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটাতে তারেক রহমান কি মেয়ের হাতে বিএনপিকে সমর্পণ করবেন? নাকি অন্য কিছুর জন্য অপেক্ষা করবেন- সেটাই এখন দেখার বিষয়।
জাইমা রহমানের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে সাবেক ছাত্রদল নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী রাজনীতির যে আদর্শ সৃষ্টি করে গেছেন, জাইমা রহমান সে আদর্শ ধারণ করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নেবেন, এটাই স্বাভাবিক।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, ‘জাইমা রহমানের দাদা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের অনুপস্থিতিতে তার সহধর্মিণী গৃহবধূ থেকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আপসহীন নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। বিএনপির শাসনামলে আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমান এমপি-মন্ত্রী না হয়েও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করেছেন, এখনও এই সরকারের জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে নিজ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সেই ধারাবাহিকতায় জাইমা রহমান, ডা. জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে যেকোনো সময় আবির্ভূত হবেন— এটা স্বাভাবিক। কারণ জিয়াউর রহমান যে উৎপাদনমুখী রাজনীতি সৃষ্টি করে গেছেন, এ দেশের মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন জিয়া পরিবারের প্রতি আস্থা রাখবে।’
দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘জাইমা রহমান দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। জিয়া পরিবারের রক্ত তার ধমনীতে। তিনি আজ হোক, কাল হোক রাজনীতিতে যুক্ত হতেই পারেন। এছাড়া তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বের বড় বড় নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে। সবমিলিয়ে জাইমা রহমান যদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্ত হন, আমি মনে করি বাংলাদেশের রাজনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে, উন্নত হবে, শক্তিশালী হবে। দেশ ও দেশের মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবে।’
বিষয়টি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি কখনও শুনিনি যে জাইমা রহমান পার্টিতে যোগ দিচ্ছে।’
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের ভাষ্য, ‘দ্যাখেন, ভবিষ্যতে কী হবে না হবে; ভবিষ্যতে সে (জাইমা রহমান) রাজনীতিতে আসবে কি আসবে না— সেটা তো এখন বলতে পারছি না।’
যদি উনি (জাইমা রহমান) রাজনীতিতে আসেন কেমন করতে পারবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমি তো আপনাকে এটাই বললাম, এটা তো ভবিষ্যতে বলে দেবে…, রাজনীতিতে আসবে, কি আসবে না। এখন তো আমরা কিছু বলতে পারছি না। তবে রাজনীতিতে যদি আসে তাহলে সে নিশ্চয়ই যোগ্যতা নিয়ে আসবে। তার সেই যোগ্যতা আছে। কারণ, তার শরীরে জিয়া পরিবারের রক্ত। কিন্তু কখন আসবে; আসবে কি, আসবে না— সেটা এখন আমরা বলতে পারছি না।’