বিডিআর বিদ্রোহকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেন শহীদ মেজর তানভীরের স্ত্রী তাসনুভা মাহা। তিনি বলেন, সৈনিকরা কখনো বিদ্রোহ করতে পারেনা, তাই কেউ বিডিআর বিদ্রোহ না বলে পিলখানা হত্যাকান্ড বলবেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সামরিক বিষয়ক উপদেষ্টা শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকী ও তার দলের সকলের পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ছিলো পিলখানা হত্যাকান্ড। তারা সৈনিকের উপর দোষ দিয়ে এই গল্পটা সাজিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি পিলখানায় থাকা অবস্থায় আমাকে রুম থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ৩ জন হিন্দিভাষী লোকসহ ৯- ১২ জন লোক মিলে আমাকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, তার স্বামী শহীদ তানভির তিন বছর বিডিআর কোর্স করেছিলো, তিনি কখনোই তার স্বামীর মুখে হিন্দি ভাষা শোনেননি। তার মানে হলো সৈনিকরা হিন্দি ভাষা ব্যবহার করেনা।
তিনি আরও বলেন, হিন্দিভাষী লোকগুলো তার কোল থেকে তার শিশু বাচ্চাকে কেড়ে নিয়ে কাপড় খুলে দেখে যে বাচ্চাটি ছেলে নাকি মেয়ে! এমনকি তারা আরও বলছিলো যে পাকিস্তানি একটা বাচ্চাকেও তারা বাঁচিয়ে রাখবেনা। কোন বিডিআর নিশ্চয়ই এই কথা বলতে পারেনা।
তাসনুভা প্রশ্ন তুলে বলেন, তাহলে কি তানভীর কিংবা আমি আমরা কি বাংলাদেশি ছিলাম না! Travel packages
কেনো বলা হয়েছিলো পাকিস্তানি বাচ্চাকে বাঁচতে দেবো না? তাহলে কি আমরা পাকিস্তানি ছিলাম?
তিনি মন্তব্য করেন, এ কথাগুলো অবশ্যই অন্য দেশ থেকে বলা। অন্য দেশের উপর ভর করে এসব করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোন সংবাদমাধ্যমে এসব কথা প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছিলো, এমনকি তার কাছ থেকে লিখিত স্টেটমেন্ট ও নেওয়া হয়েছিলো বলে জানান তিনি।
তাসনুভা মাহা বলেন, তিনি সেনাপ্রধানের কাছে তিনটি দরখাস্ত করেছেন কিন্তু তার একটি দরখাস্তেরও কোন জবাব দেওয়া হয়নি। ৬ আগস্ট থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি সেনাপ্রধানের সাথে দেখা করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তাকে দেখা করা থেকে আটকানোর চেষ্টা করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এহসান হাছান।
তিনি জানান, তার স্বামীর লাশ তিনি এখনো পাননি, তাকে কোনভাবেই সে ব্যাপারে সাহায্য করা হচ্ছে না। একটা মানুষ আর কত নির্বিচারের মুখোমুখি হতে পারে!
সবশেষ,তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান, শুধু তার স্বামীর লাশ তাকে ফেরত দিলেই হবেনা, সারাদেশে যত বিডিআর পরিবার অন্যায়ের শিকার হচ্ছে তাদের সকলের প্রতি ন্যায়বিচারস্বরুপ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।